Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
TMC Infighting

বাসে অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র বসানো ঘিরে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীতে হাতাহাতি

মঙ্গলবার দুপুরে হাওড়ার সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসে ভিএলটিডি যন্ত্র লাগানো ঘিরে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি বাধল। অভিযোগ, এক যুবকের পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।

An image of TMC Flags

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:০৪
Share: Save:

অটো এবং ই-রিকশা ছাড়া যাত্রিবাহী সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি যানবাহনে ভেহিক্‌ল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি) লাগানো বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। মঙ্গলবার দুপুরে হাওড়ার সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসে সেই যন্ত্র লাগানো ঘিরে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি বাধল। অভিযোগ, এক যুবকের পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম টিপু সুলতান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি যানবাহনে ভিএলটিডি লাগানোর জন্য পরিবহণ দফতর-স্বীকৃত ২৫টির মতো সংস্থা রয়েছে। এ দিন সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসের দায়িত্বে থাকা তেমনই একটি সংস্থার কর্মীরা ওই যন্ত্র লাগানোর কাজ করছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে এক দল লোক লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের উপরে হামলা চালায়। কর্মীরা বাধা দিলে উভয় পক্ষে হাতাহাতি বেধে যায়। অভিযোগ, তখনই টিপু সুলতান নামে ওই যুবকের পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হামলাকারীরা।

ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আশরাফ খান অভিযোগ করেন, ‘‘তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি মহম্মদ হাবিবের লোকজন আমাদের লোকজনের উপরে পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালিয়েছে। ওঁরা গায়ের জোরে এজেন্সির দখল নিতে চাইছেন।’’ যদিও আশরাফের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন হাবিব। তিনি বলেন, ‘‘আমি ঘটনার সময়ে উপস্থিত ছিলাম না। এখানে আমার কোনও ভূমিকা নেই। আর এটা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। পাড়ার ছেলেদের মধ্যে মারপিট হয়েছে।’’

হাওড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসার অশোক ঘোষ জানান, সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসে ভিএলটিডি লাগানো নিয়ে দু’টি সংস্থার লোকেদের মধ্যে গোলমাল হয়েছে। এতে সরকারি কোনও কর্মী জড়িত নন। তিনি বলেন, ‘‘খবর পেয়েই আমাদের অফিসারেরা যান। জগাছা থানাকে বলেছি এলাকায় পুলিশি টহলদারি বাড়ানোর জন্য।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনাটা বড় কিছু নয়। ওই যুবককে কী দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy