—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অশান্তির ঘটনা ঘটল উত্তর কলকাতার শোভাবাজারে। অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে কলকাতা পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের কাছে স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি সুনন্দা সরকারের অনুগামীদের সঙ্গে এলাকার বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার অনুগামীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে রাত ১২টা নাগাদ সুনন্দা ঘটনাস্থলে যান। অভিযোগ, তিনি শশীর অনুগামীদের গায়ে হাত তোলেন। এর পরে দু’পক্ষই বড়তলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধির অনুগামীদের সঙ্গে স্থানীয় বিধায়কের অনুগামীদের ঝামেলা দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছোটখাটো কোনও কাজ করতে গেলেও সুনন্দার অনুগামীরা মোটা টাকা দাবি করে বসেন। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিষয়টি নিয়ে শশী দলীয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছেন। সুনন্দার অনুগামীদের তোলা চাওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিটে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসা শুরু হয়, যা গড়ায় হাতাহাতিতে। সুনন্দার দলবল শশীর অনুগামীদের উপরে চড়াও হলে তারাও পাল্টা দু’টি ক্লাবে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। গন্ডগোলের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান সুনন্দা। সেখানে তিনি শশীর লোকজনকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে শশীর অভিযোগ, ‘‘১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি সারানোর মতো ছোটখাটো কাজ করাতে গেলেও টাকা চাওয়া হয়। চিঠিতে এমন অভিযোগ আমার কাছে আগেই এসেছে। সেই চিঠি দলের কাছে পাঠিয়েছি। ওই ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণেরও একাধিক অভিযোগ এসেছে। সোমবার রাতের গন্ডগোলে স্থানীয় কাউন্সিলর রাস্তায় নেমে চড়-থাপ্পড় মেরেছেন। সেই দৃশ্য টিভিতেও ধরা পড়েছে।’’
সুনন্দা অবশ্য তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ওঠা তোলাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সোমবার রাতে রাস্তায় নেমে তিনি কাউকে চড়-থাপ্পড় মারেননি বলেও তাঁর দাবি। সুনন্দা বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ডে কোনও ঘটনা ঘটলে সেখানে নিশ্চয়ই আমারই যাওয়া উচিত। আমি কাউকে মারিনি। দিন-রাত এক করে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে চলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy