প্রতীকী ছবি।
প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। সোমবার রাতে, রাজারহাটের বাজেতরফ এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে ফের ওই অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়ায়। উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। দু’পক্ষেরই দাবি, ঘটনায় তাঁদের কয়েক জন সমর্থক আহত হয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষের কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালিয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁদের বাড়ি। তাঁদের সাত-আট জন সমর্থক আহত হয়েছেন। পাল্টা অভিযোগে তৃণমূল জানিয়েছে, বিজেপি-ই প্রথমে হামলা চালায়। ঘটনায় তাঁদের এক মহিলা-সহ তিন কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের আরও অভিযোগ, এ দিন সকালে ফের কয়েক জন বহিরাগতকে এনে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। যদিও বিজেপি নেতাদের দাবি, আহতদের খোঁজ নিতে তাঁরা এলাকায় গিয়েছিলেন। সে সময়ে তৃণমূলের সমর্থকেরা তাঁদের মারধর করেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রতিমা কখন নিরঞ্জন করা হবে তাই নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। বিজেপি নেতা প্রভাকর মণ্ডল জানান, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মদতে তাঁদের সমর্থকদের মারধর করা হয়। এ দিন আহতদের খোঁজ নিতে দলীয় নেতৃত্ব এলাকায় গেলে তৃণমূলের সমর্থকেরা ফের তাঁদের উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ বিজেপির। বিজেপি নেতাদের আরও দাবি, তাঁদের দলের যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদেরই অভিযুক্ত হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রত্যাশিত ভাবেই বিজেপির যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছেন রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর। তিনি জানান, প্রতিমা নিরঞ্জনকে ঘিরে স্থানীয় স্তরে গোলমাল। তবে কয়েক মাস ধরে ওই অঞ্চলে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করছিল বিজেপি। প্রবীরবাবুর আরও দাবি, এ দিন বহিরাগতদের এনে এলাকায় অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে তারা পালায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy