প্রতীকী ছবি।
বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলা লরি রাস্তার পাশে ফুটপাতে উঠে ধাক্কা মেরেছিল বাস ছাউনিতে। গত সোমবার ভোরে উত্তর কলকাতার বিবেকানন্দ রোডে ওই দুঘর্টনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় আহত দু’জনের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। তাঁদের মধ্যে এক প্রৌঢ়ের শনিবার সকালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রবি দাস (৫৫)। তিনি স্থানীয় মানিকতলা মেন রোডের বাসিন্দা। পেশায় ছিলেন গাড়িচালক।পুলিশ সূত্রের খবর, গত সোমবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বেপরোয়া গতিতে চলা একটি লরি মানিকতলা বাজারের উল্টোদিকে বিবেকানন্দ রোডের ফুটপাতে উঠে একটি কংক্রিটের বাস ছাউনি ও তার পাশে চায়ের দোকানে ধাক্কা মারে। তাতে বাস ছাউনিটি ছাদ-সহ চায়ের দোকান নিয়ে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বাস ছাউনির ছাদের নীচে আটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল শান্তা যাদব (৫০) ও রোহিত জয়সওয়ালের (৩১)।
গত সোমবার থেকেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন রবিবাবু। তাঁর ডান দিকের বুকের পাঁজর ও বাঁ পা ভেঙেছিল। রবিবাবুর একমাত্র পুত্র শুভদীপ দাস বলেন, “সোমবার ভোরে দুর্ঘটনার পরে বেশ কিছু ক্ষণ বাবা-সহ তিন জন পুরোপুরি বিপজ্জনভাবে চাপা পড়ে ছিলেন। বাবার ভাড়া গাড়িতে যে আরোহী ছিলেন তিনিই আমাকে ফোন করে খবর দেন। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা এসে প্রথমে বাবাকে উদ্ধার করেন। বাবার আঘাত বেশ গুরুতর ছিল।” শুভদীপ আরও জানান, সে দিন তাঁর বাবা হাওড়া ফুলবাজার থেকে ফিরছিলেন। দুর্ঘটনাস্থলের পাশে গাড়িটি রেখে তিনি চা খাচ্ছিলেন।
সে দিন লরিটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি গাড়িকেও পর পর ধাক্কা মেরেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। আর এক আহত ডানকুনির বাসিন্দা, পেশায় গাড়িচালক রাজেন্দ্র জয়সওয়ারা দমদমের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর বাঁ পা ভেঙে গিয়েছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে নার্সিংহোম সূত্রে জানানো হয়েছে।
ওই দুর্ঘটনায় পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে লরির চালক অভিযুক্ত সোনু মারান্ডিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সোনু বেপরোয়া গতিতে লরি নিয়ে ছুটছিলেন। সেই সময়ে তাঁর ডান দিকে একটি গাড়ি চলে আসে। সেটিকে বাঁচাতে গিয়ে লরিটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। লরিচালক এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, কাউকে আহত করা-সহ অনিচ্ছাকৃত ভাবে একাধিক জনের মৃত্যু ঘটানোর দায়ে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy