সাধারণ চিকিৎসকের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরও ঘাটতি রয়েছে। প্রতীকী ছবি।
দেশ তথা রাজ্য জুড়েই রয়েছে চিকিৎসকের অভাব। অনেক সময়ে যার প্রভাব পড়ে আইসিইউ-তেও। আচমকা কোনও রোগীর অবস্থা খারাপ হলে পরিস্থিতি সামাল দেবে কে, তা নিয়ে অনেক সময়েই সংশয় দেখা দেয়। নার্স ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের ঠিকঠাক প্রশিক্ষণ থাকলে অনেক সময়ে তাঁরাই সেই পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামলে দিতে পারেন। তাতে মৃত্যু-হারও কমানো সম্ভব। সেই লক্ষ্যেই রবিবার এম আর বাঙুর হাসপাতালে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, সাধারণ চিকিৎসকের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরও ঘাটতি রয়েছে। সর্বত্র পর্যাপ্ত সংখ্যক ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞও নেই। সেটাই সমস্যা। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানাচ্ছেন, ধরা যাক, কোনও আইসিইউ-তে একই সময়ে দু’-তিন জন রোগী সঙ্কটজনক হয়ে পড়লেন। সেই সময়ে এক জনই ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তিনি হয়তো এক জন রোগীকে নিয়ে ব্যস্ত। তা হলে বাকিদের সামলাবে কে? সেই সমস্যা মেটাতেই এমন প্রশিক্ষণ।
এম আর বাঙুর হাসপাতালের সুপার শিশির নস্কর বলেন, ‘‘নার্স ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের আইসিইউ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে যথাযথ প্রশিক্ষণ থাকলে তাঁরাই প্রাথমিক ভাবে রোগীকে স্থিতিশীল করতে পারবেন।’’ কর্মশালায় নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন নার্স তানিয়া পরভিন, অর্চনা গিরি এবং মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট রাবেয়া খাতুন ও কৃষ্ণা রায়েরা।
ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, রোগী অতি সঙ্কটজনক হওয়া মাত্রই যদি তাঁকে প্রাথমিক পর্যায়ে সামাল দেওয়া যায়, তা হলে ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রাণহানি আটকানো সম্ভব হয়। ইতিমধ্যেই শহরের ওই হাসপাতালে এই পদ্ধতি অবলম্বনে ক্রিটিক্যাল কেয়ারে সুফলও পাওয়া গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy