—প্রতীকী চিত্র।
আনুষ্ঠানিক ভাবে পুজো শুরুর দিনকয়েক আগে থেকেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপগুলিতে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সৌজন্যে পুজো নিয়ে উন্মাদনা আরও বেড়েছে। তাই নির্ধারিত সময়ের অনেকটা আগে পুজো পরিক্রমার সূচি ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগম।
শুক্রবার দফতরের ময়দান তাঁবুতে ওই পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, চলতি বছরে পুজোয় শিল্প, চারুকলা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিক তুলে ধরতে মহালয়ার আগেই কলকাতার বাছাই করা কয়েকটি পুজো দেখানোর ব্যবস্থা করতে চলেছে পরিবহণ দফতর। মূলত বিদেশ থেকে আসা পর্যটক ও বয়স্ক নাগরিক, যাঁরা ভিড় এড়িয়ে মণ্ডপসজ্জা দেখতে চান, তাঁদের জন্য ওই ব্যবস্থা। ইউনেস্কো ছাড়াও কলকাতার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে বিলাসবহুল বাসে ১২ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে পুজো দেখানোর ওই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। কলকাতার ২৪টি বাছাই করা পুজোকে ওই ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হয়েছে।
বাতানুকূল ট্রামে এসপ্লানেড থেকে শ্যামবাজার হয়ে গড়িয়াহাটের মধ্যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পুজো মণ্ডপ দেখানোর ব্যবস্থা করছে রাজ্য পরিবহণ নিগম। মূলত সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীকে কেন্দ্র করে নিগমের বেশির ভাগ পরিক্রমার নির্ঘণ্ট ভাবা হয়েছে। যাতায়াতের জন্য বাতানুকূল ভলভো এসি বাস, ট্রাম এবং জলপথে ভেসেলের কথাও ভাবা হয়েছে।
নিয়মিত পরিক্রমার বিভিন্ন প্যাকেজে রয়েছে কলকাতা ও শহরতলির বনেদি বাড়ির পুজো, জলপথে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট থেকে উত্তর কলকাতার বড় পুজো, শহরতলি থেকে কলকাতায় পুজো, এসপ্লানেড এবং বারাসত থেকে কলকাতার পুজো, কামারপুকুর এবং জয়রামবাটির পুজো ও গ্রামের জমিদারবাড়ির পুজো।
পরিক্রমা সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া ছাড়াও বুকিং করা যাবে এসপ্লানেডের ট্রাম এবং বাস টার্মিনাস, হাওড়া, যাদবপুর, গড়িয়া ৬ নম্বর, বেহালা ১৪ নম্বর, টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো, বারাসত কলোনি মোড়, হাবড়া বাস ডিপো এবং শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো থেকে। রাজ্য পরিবহণ নিগমের ওয়েবসাইট, আর এন মুখার্জি রোডের পরিবহণ ভবন এবং ৪৫ নম্বর গণেশ অ্যাভিনিউয়েও এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। চাহিদা বুঝে আসন বাড়ানোর ব্যবস্থাও খোলা রাখছে নিগম। এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন পরিবহণসচিব সৌমিত্র মোহন ও নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজনবীর সিংহ কপূর।
পুজোয় নৈশ পরিষেবা ছাড়াও কেনাকাটার সুবিধার কথা ভেবে বিশেষ পরিষেবা শুরুর কথা এ দিন জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy