অভিযান: অযোগ্য প্রার্থীদের প্যানেল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে অবস্থান শিক্ষকদের। শুক্রবার, সল্টলেকের করুণাময়ীতে। ছবি: স্নেহাশিষ ভট্টাচার্য্য
প্যানেল থেকে অযোগ্যদের বাদ দেওয়া না হলে আন্দোলন চলবে। এই দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে আন্দোলন চালাচ্ছেন ‘২০১৬ যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-এর শিক্ষকেরা। বর্ষবরণের রাতটিকে তাঁরা ‘ব্ল্যাক ডে’ হিসাবে পালন করেছেন। শুক্রবার ওই দাবিতে এক শিক্ষক মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ করলেন। সেই সঙ্গে হল শিক্ষকদের বিকাশ ভবন অভিযানও।
এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির সুভাষনগর হাই স্কুলের এক
শিক্ষক রজত হালদার মস্তক মুণ্ডন করেন। তার পরে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কি এটাই অপরাধ যে, আমরা ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছিলাম? কার দোষে আমাদের এই ভাবে পথে বসে থাকতে হচ্ছে? সব ধরনের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন অযোগ্যদের প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না?’’ ওয়াই চ্যানেলে থাকা আর এক শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘সিবিআই প্যানেলে অযোগ্যদের তালিকা দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল-জবাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দক্ষ আইনজীবী নেই। আমাদের আবেদন, দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করে প্রকৃত তথ্য সুপ্রিম কোর্টে তুলে দিতে হবে।’’ শিক্ষকদের দাবি, সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নবম ও দশমে ৮.৫০ শতাংশ অযোগ্য শিক্ষক রয়েছেন। একাদশ ও দ্বাদশের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ১৪.৪৭ শতাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, সংখ্যালঘু এই অযোগ্যদের জন্য কেন পুরো প্যানেল বাতিল হবে? আন্দোলনরত শিক্ষকেরা জানান, আগামী ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পরেও যদি সুরাহা না হয়, তা হলে তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না।
এ দিন বিকাশ ভবন অভিযানে শিক্ষকরা ১২টা নাগাদ করুণাময়ী মোড় অবরোধ করেন। পরে তাঁরা হেঁটে ময়ূখ ভবন পর্যন্ত যান। সেখানে পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দেয় তাঁদের। শিক্ষকদের এই আন্দোলন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এই নিয়ে বলতে চাই না। আন্দোলন করে হবে না। যাঁরা যোগ্য, তাঁরা চাকরি পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy