Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
JU Student Death

হস্টেলের জানলায় দাঁড় করিয়ে ‘কুরুচিকর’ কথা বলতে বাধ্য করা হয়েছিল! মৃত্যুর তদন্তে মিলল ‘তথ্য’

মৃত ছাত্রের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয়েছিল, তার একটা স্পষ্ট ছবি পেতে চাইছে পুলিশ। হস্টেলের কয়েক জন আবাসিকের সঙ্গে কথা বলে উঠে আসছে বিভিন্ন ‘তথ্য’। সেগুলো কতটা সত্যি, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

image of JU

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ঠিক কেমন আচরণ করা হয়েছিল মৃত ছাত্রের সঙ্গে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৫
Share: Save:

হস্টেলের জানালার ধারে দাঁড়িয়ে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে চিৎকার করে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করতে হয়েছিল! অশ্লীল গালিগালাজ করতেও নাকি চাপ দেওয়া হয়। হস্টেলের কয়েক জন আবাসিকের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের একাংশ মনে করছে, ওই ছাত্র ‘সমকামী’ কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। সে কারণেই ৯ অগস্ট রাতে হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে যাওয়ার আগে সে বার বার বলেছিল, ‘‘আমি সমকামী নই।’’ ওই ছাত্রের সঙ্গে সেই রাতে কী হয়েছে, সেই বিষয়ে পড়ুয়াদের থেকে মেলা ‘তথ্য’ এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

যাদবপুরকাণ্ডে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১৩ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রাক্তনী। ধৃতদের পাশাপাশি মেন হস্টেলের অন্য আবাসিকদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। এই বয়ানের ভিত্তিতেই মনে করা হচ্ছে, মৃত ছাত্রকে জানলার ধারে দাঁড় করিয়ে ‘কুরুচিকর’ গালিগালাজ করতে বলা হয়। ওই ছাত্র সমকামী কি না, সেই প্রশ্নও করা হয়। তাঁর গার্লফ্রেন্ড রয়েছে কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। মনে করা হচ্ছে, তখনই ওই ছাত্র বার বার বলতে থাকেন, ‘‘আমি সমকামী নই।’’ পুলিশের বয়ানেও সে কথা রয়েছে।

প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এ-ও জানতে পেরেছে, শুধু ওই ছাত্র নয়, নতুন ভর্তি হওয়া অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গেও এ রকম আচরণ করা হত হস্টেলে। অনেক পড়ুয়াই সেই অভিযোগ করেছেন। মৃত পড়ুয়ার সঙ্গে এ ধরনের ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, এখন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এর আগে প্রথম বর্ষের কয়েক জন পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, হস্টেলে নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের দিয়ে অনেক কাজই করানো হত। ঘর এবং শৌচালয় পরিষ্কার করতে হত তাঁদের। মশারি টাঙিয়ে দিতে হত। সিনিয়রদের ভাত বেড়ে দিতে হত। সিনিয়রদের অনুমতি ছাড়া বাড়ির লোকের সঙ্গে কথাও বলতে পারতেন না তাঁরা। যখন বাড়িতে ফোন করতেন, তখন সেখানে উপস্থিত থাকতেন কোনও সিনিয়র। মৃত ছাত্রের সঙ্গেও এ রকমই আচরণ হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

JU Student Death Ragging police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy