—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র প্রভাব শুধু রাজ্যের অ্যালোপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজেই নয়। বরং ওই ক্ষমতাবান গোষ্ঠী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যের হোমিয়োপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ এবং ওই চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে সরব হল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট হোমিয়োপ্যাথিক ডক্টর্স ফ্রন্ট’।
আর জি করের ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে কী ভাবে ওই বিশেষ গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠেরা হুমকি-প্রথা চালিয়ে গিয়েছেন, তা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এ দিন হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসকেরাও দাবি করেন, তাঁদেরও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে একই রকম ভাবে হুমকি-প্রথার মুখে পড়তে হচ্ছে। হাওড়ার মহেশ ভট্টাচার্য হোমিয়োপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজে ফেস্টের নামে টাকা তোলার প্রতিবাদ করায় হুমকি শুনতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসক-পড়ুয়া ফজলুর হক। তাঁকে রীতিমতো শারীরিক নিগ্রহের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানিয়েছেন।
অভিযোগ, হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও যে বিভিন্ন দুর্নীতি চলছে, তার নেপথ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গ লবি। শেষ ১০ বছর হোমিয়োপ্যাথি কাউন্সিলের কোনও নির্বাচন হয়নি। বদলে অ্যাড-হক কমিটি গঠন করে চালানো হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ লবির ক্ষমতাবলে ভিজিল্যান্সে অভিযুক্ত এক প্রাক্তন অধ্যক্ষকে কাউন্সিলের সহ-সভাপতি পদে বসানো হয়েছে। আবার, স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা (হোমিয়োপ্যাথি) করা হয়েছে অনভিজ্ঞ এক চিকিৎসককে। অভিযোগ, দিনের পর দিন হোমিয়োপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ওই চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রশাসনিক বিষয়েও হস্তক্ষেপ করতে শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসেরা। এ দিন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট হোমিয়োপ্যাথিক ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর তরফে দাবি করা হয়, অবিলম্বে হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থায় হুমকি-প্রথা তৈরি করা ও বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্তদের তারা চিহ্নিত করে রাজ্য প্রশাসনকে জানাবে। সেই মতো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও সরকারকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy