বর্ষবরণের সন্ধ্যায় তুলনায় কম ভিড় পার্ক স্ট্রিটের ফুটপাতে। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাক্ বড়দিনের সন্ধ্যাতেই কার্যত বেড়াল মারার কাজটা সেরে রেখেছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। ভিড় বাড়লেও পার্ক স্ট্রিট যে বেসামাল হবে না, তার পূর্বাভাস সেদিনই মিলেছিল। মঙ্গলবার বর্ষবরণের সন্ধ্যায় আরও বেশি প্রস্তুতি নিয়ে সেই কাজটাই নিপুণ ভাবে করে দেখালেন কয়েক হাজার পুলিশকর্মী। কড়া নজরদারির মধ্যে সংযত মেজাজেই পার্ক স্ট্রিটে বর্ষবরণ দেখল কলকাতা।
বড়দিনের তুলনায় বর্ষবরণের সন্ধ্যায় শীতের কামড় সামান্য বেশি ছিল। ঠান্ডার আমেজেও অবশ্য পুলিশের ব্যবস্থাপনায় পার্ক স্ট্রিটের ভিড় জমাট বাঁধার সুযোগ পায়নি। পুরো পার্ক স্ট্রিট চত্বরকে ‘নো পার্কিং জ়োনে’ পরিণত করা ছাড়াও অ্যালেন পার্ক পর্যন্ত অংশে ভিড় রাস্তার দুই পাশে রেলিংয়ের মধ্যে আটকে রেখেছিল পুলিশ। মির্জ়া গালিব স্ট্রিট কিংবা সেন্ট থমাস চার্চের দিক থেকে আসা ভিড় কখনওই রাস্তা পেরোনোর সুযোগ পায়নি। ফলে, রাস্তায় যানজট হয়নি। আবার রাস্তা খোলা থাকলেও পুলিশি নজরদারির মধ্যে বাইক কিংবা এসইউভি-র নিয়ম ভেঙে দাপাদাপি করার সুযোগ পায়নি। রাস্তার দু’পাশেও কোথাও গাড়ি দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ। বাস বা মেট্রোয় আসা ভিড় এক দিক দিয়ে পার্ক স্ট্রিটে ঢুকলেও তাদের স্বাভাবিক নিয়মে মল্লিকবাজার কিংবা ক্যামাক স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছে। মির্জা গালিব স্ট্রিট দিয়ে নিউ মার্কেটের দিক থেকে লাগামছাড়া ভিড় অন্যান্য বারের মতো পার্ক স্ট্রিটে সরাসরি এসে পড়ার সুযোগ পায়নি।
তবে, এই শৃঙ্খলার পার্ক স্ট্রিটে বর্ষবরণের সন্ধ্যায় অনেকেই পছন্দের রেস্তরাঁয় পৌঁছতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। পার্ক স্ট্রিটে ঢোকার আগে গাড়ি ছেড়ে, হেঁটে পৌঁছেছেন অনেকে। আবার এক রেস্তরাঁয় জায়গা না পেয়ে রাস্তার অন্য দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলেও লম্বা পথ ঘুরতে হয়েছে বা পার্ক স্ট্রিট থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে।
জটলা করার সুযোগ না থাকায় এ দিন বেপরোয়া জনতার একটি অংশ পার্ক স্ট্রিটকে কার্যত এড়িয়ে গিয়েছে। ময়দান, পার্ক স্ট্রিট, এসপ্লানেড চত্বরে কোথাও লাগামছাড়া ভিড় চোখে পড়েনি। মধ্য কলকাতার বদলে তুলনায় বেশি ভিড় চোখে পড়েছে শহরের উত্তর, দক্ষিণ বা পূর্বের নানা গন্তব্যে। ভিড় ছিল না বাসেও। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যান চলাচল ঠিক রেখে বেপরোয়া ভিড়কে কাবু করার বার্তা আগেই দেওয়া হয়েছিল। শহরের৫২টি জায়গায় নাকা চেকিং ছাড়াও মহিলাদের সুরক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানায় পুলিশ। এ দিন পার্ক স্ট্রিটের এক রেস্তরাঁর সামনে দাঁড়িয়ে সে কথাই বলছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের এক পড়ুয়া। ফুটপাতে নিশ্চিন্তে হাঁটার সুযোগ দিয়ে পার্ক স্ট্রিট এ দিন পথচারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy