Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Kolkata International Film Festival 2022

মরণোত্তর অঙ্গদানের বার্তা এ বার চলচ্চিত্র উৎসবেও

মরণোত্তর অঙ্গদান নিয়ে বর্তমানে অনেকটাই সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে জনসাধারণের মধ্যে। সেই সদিচ্ছাকে আরও ছড়িয়ে দিতে বছরখানেক আগে গল্পটি লিখেছিলেন শৌভিক।

বিশ্বের ছবি: আজ, বৃহস্পতিবার ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন। তার আগে নন্দনে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বুধবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

বিশ্বের ছবি: আজ, বৃহস্পতিবার ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন। তার আগে নন্দনে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বুধবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:১৮
Share: Save:

মরণোত্তর অঙ্গদান নিয়ে সমাজের প্রতিটি স্তরে আরও বেশি মাত্রায় সচেতনতার প্রয়োজন বলেই দাবি করেন চিকিৎসকেরা। এ বার তাঁরা সেই বিষয়ে আরও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৈরি করলেন স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমা ‘হাতের স্পর্শ’, যা প্রদর্শিত হবে এ বছরের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।

তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অ্যালবার্ট এক দিন ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময়ে তাঁর বাড়িতে এসে হাজির হন এক তরুণী। দুর্ঘটনায় মৃত সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়ের বোন বলে দাবি করে ওই তরুণী অ্যালবার্টকে জানান, মাকে বাঁচাতে তাঁকে এক বার যেতেই হবে। সেই যাওয়ার পথেই স্মৃতি রোমন্থন অ্যালবার্টের। সৌম্যদীপের ব্রেন ডেথের পরে চিকিৎসক ইমতিয়াজ ওই যুবকের বাবা-মাকে বুঝিয়ে অঙ্গদানে রাজি করিয়েছিলেন। সেই সময় সৌম্যদীপের হাত পেয়ে নতুন জীবনে ফিরেছিলেন অ্যালবার্ট। ছবির শেষে দেখা যাবে, অসুস্থ বৃদ্ধার কাছে যাওয়া মাত্র অ্যালবার্টের হাত দু’টি বুকে চেপে ধরেই নিজের সন্তানকে স্পর্শের সুখ অনুভব করেন তিনি।

‘রিজিয়োনাল অর্গ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজ়েশন’-এর (রোটো)-এর প্রযোজনায় তৈরি, মাত্র সাড়ে ১৯ মিনিটের এই সিনেমার মুখ্য চরিত্র অ্যালবার্টের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এসএসকেএম হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক শৌভিক অধিকারী। আর চিকিৎসক ইমতিয়াজ খানের চরিত্রে রয়েছেন অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়। পরিচালনায় শল্য চিকিৎসক প্রসেনজিৎ চৌধুরী। অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি শুটিং হয়েছে এসএসকেএম চত্বরেও। রোটো-র যুগ্ম অধিকর্তা চিকিৎসক অর্পিতা রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এই সিনেমায় অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে যে ভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তা অনেকের মনেই প্রেরণা জোগাবে।’’

মরণোত্তর অঙ্গদান নিয়ে বর্তমানে অনেকটাই সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে জনসাধারণের মধ্যে। সেই সদিচ্ছাকে আরও ছড়িয়ে দিতে বছরখানেক আগে গল্পটি লিখেছিলেন শৌভিক। তাঁর কথায়, ‘‘জাতপাতেরও ঊর্ধ্বে রয়েছে মরণোত্তর অঙ্গদান। সেটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই গল্পে।’’ আর রোটো-র কর্মীরা জানাচ্ছেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতার আলো জ্বালাতে এ বার তাঁদের বড় ভরসা এই সিনেমা। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন। আগামী ১৭, ১৮ ডিসেম্বর নন্দন (৩)-এ, ১৯ তারিখ বাংলা আকাদেমি সভাঘরে এবং ২০ ডিসেম্বর শিশির মঞ্চে দেখানো হবে এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy