দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর সম্প্রসারণ ছাড়াও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর আটটি এবং জোকা মেট্রোর ছ’টি স্টেশন চালু হয়েছে। ফাইল ছবি।
যাত্রী পরিষেবার জন্য নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রোপথ খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। সোমবার ৫.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই মেট্রোপথের বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনার। তবে ছাড়পত্র মিললেও কর্মী সংখ্যার অভাবের কারণে কবে থেকে যাত্রী পরিষেবা শুরু করা যাবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছে।
এ দিন নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথের স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম, রেললাইন, সিগন্যালিং ব্যবস্থা,অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন উত্তর-সীমান্ত রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেফটি কমিশনার শুভময় মিত্র। সর্বাধিক গতিতে মেট্রো ছুটিয়ে আপ-ডাউন লাইনের পরীক্ষাও হয়। ঘণ্টায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে পর্যায়ক্রমে দু’টি রেককে রুবি থেকে নিউ গড়িয়া এবং পরে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত দৌড় করানো হয়। এ দিনের পরিদর্শন-পর্বে ছিলেন মেট্রো রেলের চিফ অপারেশন্স ম্যানেজার চন্দ্রিমা রায় এবং ডেপুটি চিফ অপারেশন্স ম্যানেজার শুভাশিস ভট্টাচার্য। সন্ধ্যায় সর্বাধিক গতিতে ট্রেন ছুটিয়ে পরীক্ষার সময়ে উপস্থিত ছিলেন মেট্রো রেলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এইচ এন জায়সওয়াল ও মেট্রোর পরিকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর অমিত রায়।
মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিনের পরিদর্শন-পর্বের পরে দিন দশেকের মধ্যে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের সুপারিশ-সহ রিপোর্ট হাতে পাবেন কর্তৃপক্ষ। জোকা-তারাতলা মেট্রোর মতোই আপাতত একটি মাত্র ট্রেন দিয়ে পরিষেবা চালু করার কথা ভাবা হয়েছে এই পথে। তবে যাত্রী পরিষেবা শুরু করার যাবতীয় শর্ত পূরণের পরেও এই মেট্রোপথ এখনই খুলে দেওয়া যাবে কি না, সেই প্রশ্ন থাকছে। কারণ, ওই মেট্রোপথের পাঁচটি স্টেশনে নিযুক্ত করার মতো পর্যাপ্ত কর্মী নেই কর্তৃপক্ষের হাতে।
২০১৮ সালের পরে মেট্রোয় নিয়োগ না হলেও একাধিক নতুন স্টেশন তৈরি হয়েছে। দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর সম্প্রসারণ ছাড়াও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর আটটি এবং জোকা মেট্রোর ছ’টি স্টেশন চালু হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় শ’দেড়েক কর্মীর অভাব রয়েছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর। ফলে নতুন কর্মী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথ যাত্রী পরিষেবার জন্য খুলে দেওয়া কঠিন।
যদিও এ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী মার্চ-এপ্রিলের পরে নতুন কর্মীরা প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করে মেট্রোয় যোগ দিতে শুরু করলে কর্মী-সঙ্কট কাটতে শুরু করবে। রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের দেওয়া ছাড়পত্রের মেয়াদ থাকে ছ’মাস। তাই ওই সময়ের মধ্যে কর্মী-সঙ্কট কাটিয়ে নতুন মেট্রোপথ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া যেতে পারে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy