কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর প্রতিটিতে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে হকার সমীক্ষা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গড়িয়াহাট মোড়, হাতিবাগান মোড়, নিউ মার্কেট চত্বর, ঠাকুরপুকুর, বেহালার একাংশে এই সমীক্ষা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ওই সব এলাকায় মোট হকার রয়েছেন ১১৭০০ জন। মেয়র পারিষদ (হকার পুনর্বাসন) দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘এ বার শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড ধরে ছোট, বড় সব রাস্তায় হকার সমীক্ষার কাজ হবে। ১৫ দিনের মধ্যে তা শেষ করতে হবে।’’
মেয়র পারিষদ জানান, হকার সমীক্ষার জন্য পুরসভার বিভিন্ন বিভাগ থেকে ৬৫৭ জন কর্মীকে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা ১১২টি দলে ভাগ হয়ে কাজ করবেন। ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদাধিকারীরা দলের নেতৃত্ব দেবেন। বুধবার পুর ভবনে টাউন ভেন্ডিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।
মাসখানেক আগে নবান্নে হকার সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, অনেক ব্যবসায়ী দোকান ছেড়ে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন। পুলিশকে এ নিয়ে ব্যবস্থা নিতেও বলেছিলেন তিনি। এ দিনের বৈঠকে হকার সংগ্রাম কমিটির প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, আজ পর্যন্ত ফুটপাত দখল করা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। অভিযোগ শুনে দেবাশিস কুমার জানান, ফুটপাত দখল করে যাঁরা ব্যবসা করছেন, তাঁদের ছবি তুলে তাঁর হাতে দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি সেই ছবি কলকাতার নগরপালের হাতে তুলে দেবেন বলেও আশ্বাস দেন মেয়র পারিষদ।
তবে, ১৫ দিনে সমীক্ষার কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়ে পুর আধিকারিকদের একাংশ। পুরসভা সূত্রের খবর, এই কাজের জন্য কর্মী নিয়ে নেওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন কর রাজস্ব বিভাগের কর্মীরা। বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সম্পত্তিকর সংগ্রহের জন্য এমনিতেই পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব। তার উপরে দীর্ঘদিন ধরে লোক তুলে নেওয়ায় সমস্যা বেড়েছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)