সূচনা: কালীঘাটে স্কাইওয়াকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
দীর্ঘ টালবাহানার পরে কালীঘাট মন্দিরের প্রবেশপথে স্কাইওয়াক নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল বৃহস্পতিবার। হকারদের একাংশ না সরতে চাওয়ায় গত তিন বছর ধরে ওই স্কাইওয়াক তৈরির পরিকল্পনা করেও তা বাস্তবায়িত করা যাচ্ছিল না। এর পরে গত কয়েক মাস ধরে পুর প্রশাসনের তরফে দফায় দফায় বৈঠক করে ১৭৫ জন হকারদের জন্য হাজরা পার্কে স্থায়ী হকার্স কর্নারের ব্যবস্থা করা হয়।
বৃহস্পতিবার কালীঘাট স্কাইওয়াকের ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করতে এসে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘দীর্ঘ টালবাহানার পরে হকারদের সরানো গিয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক দেবাশিস কুমার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, রতন দে-রা ওঁদের সঙ্গে বৈঠক করে বুঝিয়েছেন বলেই ওঁদের সরানো সম্ভব হয়েছে। তবে তাঁদের কাউকে উচ্ছেদ করতে হয়নি।’’
স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। পুরসভা সূত্রের খবর, এই স্কাইওয়াক তৈরির সময়সীমা ধরা হয়েছে দেড় বছর। খরচ হবে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড থেকে কালী টেম্পল রোড ধরে প্রায় ৪৫০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার চওড়া এই স্কাইওয়াক কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে নামবে। স্কাইওয়াকের একটা লেন কালীঘাট থানা থেকে ডান দিকে গুরুপদ হালদার রোডের দিকে নামবে। এ দিন স্থানীয় বিধায়ক দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘স্কাইওয়াক নির্মাণে আর কোনও বাধা রইল না। আমরা সমস্ত স্থায়ী দোকানে থাকা হকারদের সরিয়ে দিয়েছি। এ বার দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’ পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শীঘ্রই এস পি মুখার্জি রোড থেকে কালী টেম্পল রোডে ঢোকার মুখে থাকা পুরনো দোকানগুলি ভাঙার কাজ শুরু হবে।
কালীঘাট মন্দিরের সামনে হকার্স কর্নারের দোকানদারদের হাজরা পার্কে অস্থায়ী বাজার তৈরি করে দেওয়া হলেও কয়েক জন হকার দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা করছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁদের অসন্তোষের জন্যেই এত দিন স্কাইওয়াকের কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যাঁদের নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল, সেই স্থায়ী হকারদের সরানো গিয়েছে। রাস্তার পাশে হাতে গোনা যে ক’জন হকার বসে থাকেন, তাঁদের জন্য কোনও সমস্যা নেই। এ বার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।’’
রাইটসের তত্ত্বাবধানে একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ করাবে কলকাতা পুরসভা। ওই বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রতনকুমার দাস বলেন, ‘‘আমরা শীঘ্রই কাজে হাত দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy