চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদার। —ফাইল চিত্র।
জাত তুলে কু-ইঙ্গিত করার অভিযোগ ওঠায় বিশেষ আদালতে স্থানান্তরিত হল চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের মৃত্যুর মামলা। ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীর ফ্ল্যাটে গত ১৯ জুন তাঁর বান্ধবী প্রজ্ঞাদীপার দেহ পাওয়া যায়। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ২৩ জুন গ্রেফতার হন কৌশিক। তদন্তকারী অফিসার চার্জশিট তৈরির কাজও প্রায় গুটিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু প্রজ্ঞাদীপার ডায়েরির পাতায় হাতে লেখা কয়েকটি লাইনই এই মামলায় জাতিগত নিগ্রহের অভিযোগ স্পষ্ট করেছে বলে অভিমত তদন্তকারীদের। তফসিলি জাতি ও জনজাতি কমিশনের তরফেও ব্যারাকপুর কমিশনারেটে এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল।
শুক্রবার ব্যারাকপুর আদালতে নবনিযুক্ত এসিজেএম মণিকা চট্টোপাধ্যায় সাহা এই মামলায় তফসিলি জাতি ও জনজাতির প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ নিরোধক আইনের ধারা যুক্ত করে তা বারাসতের জেলা ও দায়রা আদালতে স্থানান্তরিত করেন। আগামী ৪ অগস্ট বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি। নতুন ধারা যুক্ত হওয়ায় তদন্তকারী অফিসারকে ডিএসপি পদমর্যাদার হতে হবে। এ দিন শুনানির শুরুতে বিচারক অভিযুক্তের আইনজীবী সুদীপ মৈত্রকে সওয়াল করতে বলায় তিনি দাবি করেন, ‘‘প্রজ্ঞাদীপার এক আত্মীয় জাতীয় তফসিলি জাতি ও জনজাতি কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। ২০২০ সালে ডায়েরির একটি লেখা দেখিয়ে তিনি প্রভাব খাটাচ্ছেন। তফসিলি জাতি ও জনজাতির প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ নিরোধক আইনে স্পষ্ট বলা আছে, জনসমক্ষে কোনও কুকথা বললে বা কু-ইঙ্গিত করলে তা শাস্তিযোগ্য। কিন্তু ডায়েরি তো ব্যক্তিগতি নথি, তা জনসমক্ষে কী করে হল?’’
ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘প্রজ্ঞাদীপা ও কৌশিক, দু’জনেই মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়মিত যেতেন। তাঁদের কাছ থেকেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy