অসমাপ্ত: কেষ্টপুর খালের উপরে এই সেতু তৈরির কাজ আজও শেষ হল না। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুমন বল্লভ
গাড়িতে করেই কেষ্টপুর খাল পেরিয়ে সহজে ঢুকে পড়া যাবে সল্টলেকের দিকে। আবার, ভিআইপি রোড এড়িয়ে সল্টলেক থেকে গাড়ি করে ওই খাল পেরিয়ে বিশ্ব বাংলা সরণি ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে কলকাতা বিমানবন্দরের দিকেও। কিন্তু প্রায় দেড় দশক কেটে গেলেও সেই স্বপ্ন পূরণ হল না বিধাননগর পুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের।
সল্টলেক এবং রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা আরও মসৃণ করার উদ্দেশ্যে কেষ্টপুর খালের উপরে গাড়ি চলাচলের সেতু তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল বাম আমলেই। কিন্তু সেতুর কাঠামো তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পরে জানা যায়, সেটির নকশায় ত্রুটি রয়েছে। ফলে সেই কাজ পরে বন্ধ হয়ে যায়। আবার তৃণমূলের আমলে বছর তিনেক আগে ওই সেতু লাগোয়া নতুন একটি সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। তা আজও শেষ হয়নি। সেতুর উপরে চলাচলের জায়গার ঢালাই শেষ হলেও এখনও তৈরি হয়নি সেতুর দু’দিকের রেলিং। রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, দ্রুত সেতুটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আগামী ২২ জানুয়ারি বিধাননগরের পুরভোট। সল্টলেকের ২০৬ নম্বর খেয়াঘাট কিংবা রাজারহাট-গোপালপুরের কেষ্টপুর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, তার আগে সেতুটি চালু হবে কি? সম্প্রতি ওই অর্ধনির্মিত সেতুটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেল, কাজ করছেন মিস্ত্রিরা। স্থানীয়দের দাবি, সেচ দফতরের কাছে ঠিকাদার সংস্থার পাওনা বকেয়া রয়েছে। সেচমন্ত্রী অবশ্য সেই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রাজারহাট-গোপালপুরের প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসু বলেন, ‘‘করোনার কারণে সেতু নির্মাণের কাজে বিঘ্ন না ঘটলে এত দিনে সেটি চালু করে দেওয়া যেত। আশা করছি, আর খুব বেশি সময় লাগবে না।’’
বিধাননগর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পূর্ণিমা নস্কর বলেন, ‘‘নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হওয়ার কারণে সেতু উদ্বোধন করা যায়নি। অল্প কাজ বাকি। মাসখানেকের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। তার পরেই সেতুটি খুলে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy