বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫ হলেও দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বড়জোড়ার বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ও কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়।
খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫। ফাইল চিত্র।
আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলছুট বিধায়কদের কাছে ভোট চাইবে না বিজেপি। এমনটাই জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫। কিন্তু ইতিমধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বড়জোড়ার বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ও কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। আর এঁদের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বিজেপি পরিষদীয় দল আবেদন জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ও দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে। সেই সব মামলা এখনও বিচারাধীন।
তাই এই সব দলছুট বিধায়কদের ভোট পেতে আগ্রহী নয় বিজেপি। বরং নিজেদের বাকি ৭০ জন বিধায়ককে ধরে রেখেই তাঁদের ভোট রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিশ্চিত করতে চান বিরোধী দলনেতা। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তাঁর আলোচনা হয়েছে। তারপরেই এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আবেদন করেছি। তাই নীতিগত ভাবে তাঁরা আমাদের সঙ্গে নেই। তাই আমরা ওই বিধায়কদের ভোট চাই না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আমাদের ৭০ জন বিধায়কের ভোট নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। যিনি এনডিএ-র প্রার্থী হবেন, তিনি আমাদের কাছে ভোট চাইলে যাতে তা নিশ্চিত করা যায়, সেই দায়িত্ব পালনে বিজেপি
বিধায়করা সচেতন। তাই যাঁরা চলে গিয়েছেন তাঁদের নিয়ে আর আমরা ভাবছি না।"
তবে এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক প্রবীণ বিধায়কের কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদ বা বিধায়কদের ভোট দেওয়ার জন্য কোনও দল হুইপ জারি করতে পারে না। তাই বিরোধী দলনেতার দাবি ভিত্তিহীন। কারা কাকে ভোট দেবেন, বা কোন প্রার্থী কার পছন্দের হবে তা কোনও রাজনৈতিক দল ঠিক করে দিতে পারে না। তাই কোন বিধায়ক কাকে ভোট দেবেন, তা বিরোধী দলনেতা ঠিক করে দিতে পারেন না।’’
প্রসঙ্গত, আগামী জুন মাসে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটের তুলনায় এনডিএ শিবিরের কাছে ন’হাজার ভোট কম রয়েছে। তাই সেদিক থেকে দেখতে হলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত বিজেপির ৭০ জন বিধায়কের ভোট গেরুয়া শিবিরের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy