E-Paper

উত্তেজনার বশে ধাক্কা মেরে হাতুড়ি দিয়ে খুন দমদমের বৃদ্ধকে, জেরায় দাবি অভিযুক্তের

সোমবার দুপুরে ধৃতকে নিয়ে নাগেরবাজারের নয়াপট্টির জলের ট্যাঙ্ক সংলগ্ন ওই বাগানবাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়।

An image of the death man

কল্যাণ ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:২৭
Share
Save

দক্ষিণ দমদমের নাগেরবাজারে বৃদ্ধকে খুনের ঘটনায় হাতুড়ি ব্যবহার করেছিল অভিযুক্ত গাড়িচালক সৌরভ মণ্ডল। জেরায় এমনটাই সে স্বীকার করেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। খুনের পরে বাড়ির বাগানে হাতুড়িটি ফেলে দিয়ে চলে যায় সে। সেই হাতুড়ি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।

সোমবার দুপুরে ধৃতকে নিয়ে নাগেরবাজারের নয়াপট্টির জলের ট্যাঙ্ক সংলগ্ন ওই বাগানবাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। এক পুলিশকর্মীকে ওই বাড়ির গৃহকর্তার ভূমিকায় ব্যবহার করা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর ওই বাগানবাড়ির একতলা থেকে গৃহকর্তা কল্যাণ ভট্টাচার্যের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় খুন ও চুরির মামলা রুজু হয়। ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই বাড়ির গাড়িচালক সৌরভ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়।

এ দিন দুপুরে সৌরভ তদন্তকারীদের দেখায়, ঘটনার দিন মূল ফটক বন্ধ থাকায় কী ভাবে সে পাঁচিল টপকে ভিতরে যায়। চত্বরে ঢোকার পরে সে কল্যাণকে ডাকাডাকি করে। দোতলা থেকে তিনি সৌরভকে ঘরে ঢুকতে বলেন। দোতলায় গিয়ে সে দিঘা যাওয়ার জন্য ওই বৃদ্ধের কাছ থেকে তাঁর বিলাসবহুল গাড়িটি চায়। ধৃতের দাবি, সে কথা শুনে বৃদ্ধ তাকে অসম্মানজনক কথা বলেন। একতলায় নেমে এসে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেও বলেন বলে দাবি সৌরভের। তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। উত্তেজনার বশে সে বৃদ্ধকে ধাক্কা দেয়, তাতে টাল সামলাতে না পেরে দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে মেঝেতে পড়ে যান তিনি। এর পরে ঘরে ঢুকে হাতুড়ি নিয়ে এসে বৃদ্ধের মাথায় মারে সৌরভ। বৃদ্ধের বুকে। কনুই দিয়েও আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁর শ্বাসরোধ করে সে। এর পরে সে গ্যারাজ থেকে গাড়িটি বার করে চম্পট দেয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় ধৃতের দাবি, খুনের উদ্দেশ্য তার ছিল না। কিন্তু গাড়ি চাওয়ায় বৃদ্ধ অসম্মানজনক কথা বলেন। তাই সাময়িক উত্তেজনার বশে সে এমন ঘটিয়েছে বলে দাবি ধৃতের। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আগেও উত্তেজনার বশে সৌরভ গোলমালে জড়িয়ে পড়েছিল। যার জেরে তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।

এখনও বৃদ্ধের বাড়ি থেকে চুরি হওয়া কোনও সামগ্রী উদ্ধার করা যায়নি। সে বিষয়ে তথ্য পেতে অভিযুক্তকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বাড়ির পোষ্যটি চিকিৎসকের অধীনে ভাল রয়েছে। বৃদ্ধের এক আত্মীয় ওই কুকুরটিকে নিজের কাছে রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাঁর কাছেই পোষ্যটিকে দেওয়া হতে পারে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Murder Crime police investigation Dum Dum

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।