উচ্চ মাধ্যমিকের শেষে নতুন শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ভর্তির প্রাক্কালে কোনও উপাচার্যই না-থাকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম সঙ্কটের কথা জানাল শিক্ষকদের সমিতি। যাদবপুরের বৃহত্তম শিক্ষক সংগঠন জুটা-র তরফে বুধবার সমস্যাগুলি তুলে ধরা হয়েছে। জুটা-র সভাপতি পার্থপ্রতিম বিশ্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এক বিবৃতিতে যাদবপুরের সদ্য প্রাক্তন অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে অবসরের ক’দিন আগে হঠাৎ অপমানজনক ভাবে সরিয়ে দেওয়ার নিন্দা করেছেন।
পার্থপ্রতিম রায় এ দিন বলেন, ‘‘নতুন জাতীয় শিক্ষা-নীতি অনুযায়ী পাঠ্যক্রমের জন্য ভর্তি প্রক্রিয়ার নানা দিক নিয়ে আলোচনা থমকে আছে। উপাচার্যের অভাবে ভর্তি-নীতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক নীতি আটকে। সেই সঙ্গে উপাচার্যের অভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিল মেটানোও যাচ্ছে না। আর্থিক বর্ষের শেষে সেই টাকা ফের ফেরত যাওয়ার পরিস্থিতি দানা বাঁধছে। সার্বিক অচলাবস্থা চলছে।’’ স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনও উপাচার্য না-থাকায় যাদবপুরের ছাত্র স্বার্থে ধাক্কা লাগার কথা জানিয়ে শিক্ষকেরা বলেন, ‘‘ভিসি ছাড়া পিএইচ ডি-র থিসিস পরীক্ষকও চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না।’’
উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান। ফলে, তিনি না-থাকায়
হস্টেল বা নানা অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তও থমকে। সেই সঙ্গে স্থায়ী রেজিস্ট্রার, স্থায়ী ফিনান্স অফিসার, স্থায়ী ডিন এবং এক জন সহ-উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে আটকে আছে প্রশাসনিক কাজও। পার্থপ্রতিমের কথায়, ‘‘শিক্ষক নিয়োগে প্রবল ঘাটতি। নিরাপত্তারক্ষীর অভাব। ভবনগুলির সংস্কার বন্ধ। সব মিলিয়ে নেই-রাজ্য চলছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)