ফাইল চিত্র।
শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে কলকাতার প্রায় সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা দফতর সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, “কলকাতা জেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী রয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার জন। প্রায় সবারই প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নেওয়া শেষ।”
তবে যাঁদের করোনা হয়েছিল বলে শিবিরের সময়ে প্রথম ডোজ় নিতে পারেননি, তেমন কিছু সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রতিষেধক নেওয়া বাকি থাকলে তাঁদের জন্য নতুন করে শিবির করা হবে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। গত কয়েক মাস ধরে কলকাতা জুড়ে ছ’টি কেন্দ্রে ছ’দিন ধরে শিবির চলেছে। ছ’দিনের শিবিরে দু’টি পর্যায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকদের প্রতিষেধক দেওয়া সম্পূর্ণ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী জানান, তাঁদের স্কুলের অনেক শিক্ষিকাই শিক্ষা দফতরের শিবিরের আগেই বিধানসভা ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে প্রতিষেধক নিয়েছিলেন। তবে কয়েক জন শিক্ষিকা প্রতিষেধক না পেয়েই ভোটের ডিউটি করেছিলেন। তাঁরা শিক্ষা দফতরের দু’টি শিবিরের মাধ্যমে প্রতিষেধক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছেন। শাশ্বতী বলেন, “পুজোর পরে স্কুল খোলার কথা চলছে। প্রায় সমস্ত শিক্ষিক-শিক্ষিকার প্রতিষেধক নেওয়া হয়ে গেলে অনেক নিশ্চিন্তে ক্লাস করাতে পারবেন তাঁরা। তবে অনেক অভিভাবক জিজ্ঞাসা করছেন, তাঁদের ছেলেমেয়েদের কবে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। তা হলে তাঁরাও নিশ্চিন্তে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারবেন।”
সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া সিংহ মহাপাত্র জানান, তাঁদের স্কুলেও প্রায় সমস্ত শিক্ষিকার প্রতিষেধক নেওয়া হয়ে গিয়েছে। পাপিয়া বলেন, “শিক্ষা দফতরের শিবির ছাড়াও অনেকে নিজস্ব উদ্যোগেও প্রতিষেধক নিয়েছেন। সবাই প্রতিষেধক পেয়ে যাওয়ায় আমাদের খুব সুবিধা হয়েছে। কারণ সামনে ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে আমাদের স্কুলেও ভোটকেন্দ্র হওয়ার কথা। কোনও শিক্ষিকার ভোটের ডিউটি পড়লে তিনি অনেকটাই নিশ্চিন্ত হয়ে ডিউটি করতে পারবেন। সেই সঙ্গে স্কুল খুললেও সুবিধা হবে।’’
মিত্র ইনস্টিটিউশনের (ভবানীপুর) প্রধান শিক্ষক রাজা দে জানান, তাঁদের স্কুলের সমস্ত শিক্ষকের প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ়ই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। রাজা বলেন, “করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হওয়া গিয়েছে।” শিয়ালদহের টাকি বয়েজের প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা বসাক জানান, নানা কাজে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাকেই নিয়মিত স্কুলে আসতে হচ্ছে। অধিকাংশই আসছেন গণপরিবহণে। শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে দু’টি ডোজ় মেলায় তাঁদের সুবিধা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy