প্রতীকী ছবি।
রাতের শহরে এক পুলিশ সার্জেন্টকে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল বেপরোয়া এক গাড়িচালকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে ই এম বাইপাসে অভিযুক্ত ওই চালক মাঝরাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন। তাতে রাস্তায় গাড়ি চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। এক ট্র্যাফিক সার্জেন্ট পরিস্থিতি দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ওই চালক তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ শুরু করেন। এমনকি সার্জেন্টকে ঘুষি মারা হয় বলেও অভিযোগ। তদন্তকারীরা জানান, চালক আচ্ছন্ন থাকায় রাতেই তাকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর গাড়ি থেকে একাধিক ঘুমের ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে ই এম বাইপাসে কালিকাপুর মোড়ের কাছে কর্তব্যরত পুলিশ সার্জেন্টের কাছে খবর আসে, একটি গাড়ি বেপরোয়া ভাবে ছুটছে। কয়েক জন মোটরবাইক চালক পুলিশকে ওই বিষয়ে অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে কর্তব্যরত পূর্ব যাদবপুরের ট্র্যাফিক সার্জেন্ট দীপঙ্কর দাস ওই গাড়িটিকে কালিকাপুর মোড়ের কাছে থামানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, গাড়িটি সেখানে না দাঁড়িয়ে পরের মোড়ে দাঁড়ায়। তদন্তকারীরা জানান, ই এম বাইপাসের মাঝরাস্তায় চালক এমন ভাবে গাড়িটি দাঁড় করান, যার ফলে অন্য গাড়ি চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল। এর পরে গাড়িচালক সৌরভ ভট্টাচার্য কাচ খুলে পুলিশ সার্জেন্টকে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতে থাকেন। এমনকি গাড়ি থেকে নেমে চালক দীপঙ্করবাবুকে ঘুষি মারেন বলেও অভিযোগ। তাঁর পকেটে থাকা ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর পরেই দীপঙ্করবাবু ওয়াকিটকিতে সার্ভে পার্ক থানায় ঘটনাটি জানান। থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময়ে চালক সৌরভকে দেখে বেশ আচ্ছন্ন দেখাচ্ছিল। পাশাপাশি তাঁর গাড়ি তল্লাশি করে কয়েক প্যাকেট ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে রাতেই এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, পরে সেখান থেকে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া-সহ মারধরের অভিযোগে গাড়িচালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘আপাতত চালকের শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।’’ সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ গাড়িটিকে আটক করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy