প্রতীকী ছবি।
কলকাতার ‘চার্চ অব নর্থ ইন্ডিয়া’ (সিএনআই)-র অধীনস্থ ১৫টি স্কুল আগামী সোমবার খুলে যাচ্ছে। কলকাতার বিশপ পরিতোষ ক্যানিং শুক্রবার এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘আবহাওয়ার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তাই চার্চ অব নর্থ ইন্ডিয়ার স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হোক।’’
‘চার্চ অব নর্থ ইন্ডিয়া’র অধীনস্থ লা মার্টিনিয়ারের সচিব সুপ্রিয় ধর জানালেন, সরকারি নির্দেশে গরমের জন্য ১৬ তারিখ থেকে স্কুল ফের বন্ধ করে দেওয়া হলেও এখন আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি, তাতে সিদ্ধান্ত বদলানো হয়েছে। সুপ্রিয়বাবু বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে সোমবার থেকে অফলাইনে ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। প্র্যাট মেমোরিয়াল, সেন্ট জেমস, সেন্ট জনস ডায়োসেশন, সেন্ট টমাসের মতো চার্চ অব নর্থ ইন্ডিয়ার অধীনস্থ বেশির ভাগ স্কুলই সোমবার খুলে যাবে।’’
এর পাশাপাশি, সোমবার থেকে খুলে যাচ্ছে শহরের আরও কিছু স্কুল। যেমন, মডার্ন হাইস্কুল ফর গার্লসের ডিরেক্টর দেবী কর বললেন, ‘‘আমাদের স্কুলও সোমবার খুলে যাচ্ছে। অফলাইন ক্লাসটা এখন খুবই দরকার। আর গরমও তো অনেকটা কমেছে।’’ তিনি জানান, গরমের ছুটির প্রথম দিকে তাঁরা যখন স্কুল খোলা রেখেছিলেন, তখন সরকারের তরফে ছুটি দেওয়ার নির্দেশ এসেছিল। কিন্তু এ বার সরকার কিছু বলেনি। তাই তাঁরা আবহাওয়ার উন্নতি দেখে ২৭ তারিখের পরিবর্তে সোমবার স্কুল খুলে দিচ্ছেন। দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের অধ্যক্ষ রঞ্জন মিত্র জানিয়েছেন, আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় তাঁরাও স্কুল খুলে দিচ্ছেন আগামী সোমবার থেকে। নতুন রুটিন কী হবে, তা তাঁরা পড়ুয়াদের শিগগিরই জানিয়ে দেবেন।
ভিআইপি রোডের তেঘরিয়া এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাতর্বিভাগে ক্লাস হচ্ছে বলেই জানালেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, অভিভাবকেরা তাঁদের চিঠি দিয়ে স্কুল খুলে রাখার কথা বলেছেন। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি সোমবার থেকে খুলে দেওয়া হতে পারে।
কিছু স্কুল অবশ্য জানিয়েছে, তারা ২৭ জুনই খুলবে। সাউথ পয়েন্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি বলেন, ‘‘আমরা ২৭ তারিখেই জুনিয়র স্কুল খুলব। তবে এই ক’দিন অনলাইন ক্লাস হবে। সিনিয়র বিভাগও পূর্ব-নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ২৭ জুনই খুলবে।’’ শ্রীশিক্ষায়তনের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সোমবার থেকে স্কুল খোলা হবে কি না, এখনও সেই সিদ্ধান্ত হয়নি।
যে সমস্ত স্কুল সোমবার থেকে খুলছে, তাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অধিকাংশ অভিভাবকই। তাঁদের মতে, বাড়িতে থাকতে থাকতে ছেলেমেয়েদের অনেকেরই মানসিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তা ছাড়া, বর্ষা যখন প্রায় চলেই এসেছে, তখন কেন স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে, তা-ও বোধগম্য হচ্ছে না তাঁদের। করোনা আবার ধীরে হলেও বাড়ছে। এর পরে যদি বেশি বেড়ে যায়, তখন তো স্কুল আবার বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না। তাই এখন স্কুল খোলা রাখারই পক্ষে তাঁরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy