প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পড়ুয়া-যুগলদের দেখলে কর্তৃপক্ষের নীতি-পুলিশির অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব পড়ুয়াদের একাংশ। এ বার কর্তৃপক্ষের তৈরি খসড়া আচরণ-বিধির (কোড অব কন্ডাক্ট) বিরোধিতা করলেন পড়ুয়ারা।
ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং আইসি সদস্যদের অভিযোগ, ওই খসড়া আচরণ-বিধির অনেক অংশই আপত্তিকর। তা মানতে আপত্তি রয়েছে তাঁদের। আচরণ-বিধিতে রয়েছে— কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মিটিং–মিছিল করা যাবে না। প্রাক্তনীরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর না করে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন না। কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে প্রেসিডেন্সি সংক্রান্ত কোনও অডিয়ো-ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে দেওয়া যাবে না। নিরাপত্তারক্ষীরা ক্যাম্পাসের যে কোনও জায়গায় পড়ুয়াদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে পারেন এবং সেটি না দেখালে আচরণ-বিধি ভাঙা হচ্ছে বলে ধরা হবে। প্রেক্ষাগৃহ বুকিংয়ের আগে অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, ২০০ বছরের প্রেসিডেন্সির মুক্ত পরিবেশকে এ ভাবে বদ্ধ করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্সির এসএফআই ইউনিটের সম্পাদক ঋষভ সাহা শনিবার বলেন, ‘‘এই ধরনের স্বৈরাচারী কার্যকলাপ মানব না। এ নিয়ে পড়ুয়া, প্রাক্তনী, গবেষকদের মতামত সংগ্রহ করা শুরু করেছি।’’ প্রতিবাদ জানাচ্ছে ছাত্র সংগঠন আইসি-ও। আইসি-র পক্ষে অহন কর্মকার বলেন, ‘‘প্রাপ্তবয়স্ক পড়ুয়াদের চলাফেরা নজরে রাখতে আচরণ-বিধির প্রয়োজনীয়তা কোথায়? সেটা বুঝতেই আমরা অপারগ। এই আচরণ-বিধি আরোপ করার আগের কয়েক মাসে একাধিক যুগলকে ডিন অব স্টুডেন্টস-এর অফিসে ডেকে পাঠানো, বাড়িতে চিঠি পাঠানো, বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করার ঘটনা ঘটেছে।’’
প্রেসিডেন্সির ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণ মাইতি বলেন, ‘‘খসড়াটি পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছে। ওরা আগে ওদের মতামত জানাক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy