প্রায় অন্ধকার ক্লাসঘরেই চলছে পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার, উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়ার মনোহর অ্যাকাডেমিতে। নিজস্ব চিত্র।
তৃতীয় বা চূড়ান্ত সামগ্রিক মূল্যায়নের পরীক্ষা দিতে স্কুলে এসেছিল পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা। দেখা গেল, স্কুলঘর প্রায় অন্ধকার, কারণ ভবনের বিদ্যুতের লাইনই কেটে দেওয়া হয়েছে! ফলে বৃহস্পতিবার কার্যত অন্ধকার শ্রেণিকক্ষে বসেই পরীক্ষা দিল উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া মনোহর অ্যাকাডেমির পড়ুয়ারা। পরে স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হলেও তত ক্ষণে বাড়ি চলে গিয়েছে পড়ুয়ারা।
যদিও সিইএসসি কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই স্কুলের তিন মাসের বকেয়া বিল না মেটানোর কারণেই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এ দিন ফের যোগাযোগ করতেই, বিল বাকি থাকা সত্ত্বেও পড়ুয়াদের কথা ভেবে বিদ্যুৎ সংযোগ সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পরে বেলগাছিয়া মনোহর অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, স্কুলের সঙ্গে কথা না বলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিল সিইএসসি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘স্কুলে অস্বাভাবিক বেশি বিদ্যুতের বিল আসছিল। এ নিয়ে আমরা কয়েক বার সিইএসসি দফতরে যোগাযোগ করেছিলাম। লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছিলাম। এ দিন সকালে স্কুলে এসে দেখি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা।’’
ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, সেখানে সৌর প্যানেলে বিদ্যুৎ তৈরি হয়। তার পরে সেই পরিমাণ বিদ্যুৎ সিইএসসির বিদ্যুতের লাইনেই দিয়ে দেওয়া হয়। ওই পরিমাণ উৎপাদিত বিদ্যুতের আর্থিক মূল্য বাদ দিয়েই সিইএসসি স্কুলকে বিদ্যুতের বিল পাঠায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, প্রতি মাসে স্কুলের বিদ্যুতের বিল ১১০০- ১২০০ টাকার মধ্যেই থাকে। অথচ গত অক্টোবরে বিল এসেছে ২৩ হাজার টাকা! কেন এত বেশি বিল এসেছে, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল সিইএসসি-কে।
স্কুলের এক শিক্ষিকা সুমনা সেনগুপ্ত পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন, ‘‘স্কুলে যেখানে কয়েকশো পড়ুয়া রয়েছে সেখানে কাউকে না জানিয়ে কেন হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হল?’’ স্কুলে বিদ্যুতের অভাবে এ দিন পাম্প না চলায় ছিল না পানীয় জলের জোগানও। সুমনা বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলের একতলার ঘরগুলিতে আলো ঢোকে না। সেই সব ঘরেও এ দিন পরীক্ষা ছিল। ওই সব ঘরের পরীক্ষার্থীদের তেতলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জল-আলো ছাড়াই পরীক্ষা দিয়েছে পড়ুয়ারা।’’
এই ঘটনার পরে প্রধান শিক্ষক ফের সিইএসসির শ্যামবাজারের অফিসে অভিযোগ জানিয়ে আসেন। সিইএসসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমরা কোনও পদক্ষেপ করিনি, এই অভিযোগ ঠিক নয়। কর্মীরা স্কুলে গিয়ে মিটার দেখে এসেছেন। মিটার ঠিক মতোই চলছিল। স্কুলের তিন মাসের বিদ্যুতের বিল বাকি ছিল। বিল মিটিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy