ফাইল চিত্র।
বাগজোলা খালের তরল বর্জ্য পরিশোধনকারী প্লান্টের দেখভালের দায়িত্ব অন্য কোনও সংস্থাকে দিতে চাইছে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দফতর সূত্রের খবর, ৬০ লক্ষ গ্যালন ক্ষমতাবিশিষ্ট ওই প্লান্টের চত্বর পরিষ্কার রাখা থেকে প্লান্টের যন্ত্রানুষঙ্গের দেখভাল ও মেরামতি করতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে। এর জন্য দক্ষ কর্মী নিয়োগের দায়িত্বও থাকবে ওই সংস্থার। দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘এই প্লান্টের গুরুত্ব অসীম। ফলে তা যাতে সচল থাকে তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন।’’
এমনিতে জল-দূষণ থেকে শুরু করে খালপাড়ের সৌন্দর্যায়ন, বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় উঠে এসেছে বাগজোলা খাল। বছর তিনেক আগে বাগজোলা খালের দূষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। তার পরেই বাগজোলা খালের দূষণ নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ওই খালে দূষণ কী ভাবে কমবে, তার রূপরেখা তৈরি করতে উদ্যোগী হয় কেএমডিএ। স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে খালের দূষণ কমানোর পরিকল্পনার সঙ্গে একটি ‘মাস্টার প্ল্যান’ও তৈরির কথা বলা হয়েছিল।
সে সময়ে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তকে আদালতবান্ধব হিসেবে নিয়োগ করেছিল পরিবেশ আদালত। বাগজোলা খাল দেখে তিনি আদালতকে রিপোর্টও দেন। তাতে খালে দূষণের কারণ হিসেবে দু’পাড়ের দখলদারি, জলে কঠিন বর্জ্য, মলমূত্র এসে মেশা-সহ একাধিক কারণ উল্লেখ করেন তিনি। সুভাষবাবুর কথায়, ‘‘এখনও বাগজোলা খালের অবস্থা প্রায় একই। খালের এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখান থেকে দুর্গন্ধ বেরোয়। কিন্তু আমরা যখন গঙ্গা দূষণ কমানোর কথা বলছি, তখন এই খালগুলির দূষণও যাতে কমে, তা আগে নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy