উদ্যাপন: ভাইফোঁটা উপলক্ষে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে মিলবে চার রকম থালি। নিজস্ব চিত্র
ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা/ যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা।
বাঙালি জীবনে উৎসবের মরসুমে ইতি পড়ে এই ভাইফোঁটার মাধ্যমেই। এর পরে বাকি থাকে শুধু জগদ্ধাত্রী পুজো। ভাই-বোনের এই উৎসবের মূল পর্বই হল খাওয়াদাওয়া। এই পর্বকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। নলবনে নিগমের রেস্তরাঁয় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকছে রকমারি মাছের পদের ব্যবস্থা থাকবে। গত কয়েক দিন ধরেই শুরু হয়েছে এই আয়োজন।
নিগম সূত্রের খবর, আজ এবং আগামিকাল ভাইফোঁটার দু’দিন রেস্তরাঁয় আসা ভাইবোনেদের হাতে তুলে দেওয়া হবে উপহার। এই দু’দিন কাঁসার থালায় রাখা থাকবে চন্দন, ঘি, দই এবং কাজল। থাকবে প্রদীপ, ধান-দূর্বা। শাঁখ বাজিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে বাঁ হাতের কড়ে আঙুলে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে মঙ্গল কামনায় যাবতীয় ব্যবস্থা রাখছে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘প্রতিটি উৎসবের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বারো মাসের তেরো পার্বণের প্রতিটি মধুর করে তুলতেই আমাদের এই প্রয়াস।’’
নিগম সূত্রের খবর, ইলিশ ভাপা, চিংড়ি মালাইকারি, প্রন মাঞ্চুরিয়ান ছাড়াও ‘ভাইফোঁটা স্পেশাল’ মেনু হিসেবে চার রকমের থালিতে থাকছে বাসন্তী পোলাও, ভেটকি কালিয়া, চিলি ফিস। এ ছাড়াও থাকছে মটন কষা, মটন বিরিয়ানি, লোটে ফ্রাই, ফুলকপি পনির কড়াইশুঁটির তরকারি, মিক্সড ফ্রায়েড রাইস, চিলি ফিস। সবশেষে কালাকাঁদ, রাজভোগ, চাটনিরও ব্যবস্থা থাকছে। থালি পিছু দাম ধার্য হয়েছে ৪০০-৫০০ টাকা। মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের কথায়, ‘‘নিগমের পাশেই জলাশয়। সেখান থেকে তুলে রান্না করা টাটকা মাছের রান্নার স্বাদই আলাদা। ন্যায্যমূল্যে উৎসব উপলক্ষে দিন-রাতের থালির ব্যবস্থা থাকছে।’’ নিগমের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বেসরকারি হোটেল, রেস্তরাঁয় ফিশ ফিঙ্গার, ফিশ ফ্রাই ভেটকি মাছ দিয়ে তৈরি বলে দাবি করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওই সব বাসা মাছ দিয়ে তৈরি। আমাদের রেস্তরাঁয় এই সব পদ ভেটকি মাছের।’’ আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ভাইফোঁটা স্পেশাল থালির ব্যবস্থা থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy