Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
municipal election

Municipality Election: কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশ দিয়েই চার পুরভোট, সিদ্ধান্ত কমিশনের

শুক্রবারই কলকাতা হাই কোর্ট জানতে চেয়েছিল, বিধাননগর পুরভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করা নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনা রয়েছে কিনা।

বিজেপি-র দাবি ছিল কেন্দ্রীয বাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিধাননগর পুরভোট হোক।

বিজেপি-র দাবি ছিল কেন্দ্রীয বাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিধাননগর পুরভোট হোক। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:১৭
Share: Save:

রাজ্য পুলিশ দিয়েই হবে ১২ ফেব্রুয়ারির চার পুরভোট। সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজেপি-র মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবারই কলকাতা হাই কোর্ট জানতে চেয়েছিল বিধাননগর পুরভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করার বিষয়ে কী ভাবছে কমিশন। আদালতে কমিশন জানিয়ে দেয় এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারা নিয়ে ফেলেছে। কমিশন সূত্রে খবর, বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং আসানসোল পুরভোট রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানেই করানো হবে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে হয় সে দিকে তারা বিশেষ নজর রাখবে। তবে বিরোধীদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি কার্যত নাকচ করে দিয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে, চার পুরভোটে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে থাকছে কমান্ডো, ইএফআর, এসটিএফ। তা ছাড়া শুক্রবার থেকে স্পর্শকাতর এলাকা ঘুড়ে দেখবে সিআইডি ও আইবি। ১২ ফেব্রুয়ারি চার পুরসভার ভোটের জন্য আলাদা করে এক জন আইজি অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। যার তত্ত্বাবধানে থাকবে রাজ্য পুলিশ। এ ছাড়া নিযুক্ত হচ্ছেন একজন আইএএস পদমর্যাদার বিশেষ পর্যবেক্ষক।

উল্লেখ্য, ভোটের আগে দফায় দফায় বিধাননগরে অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে শুধু সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার দাবি জানায় বিজেপি। এ নিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলছে তারা। ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানান শুভেন্দু অধিকারীররা। শুধু বিধাননগর পুরভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে করার দাবিতে আদালতের দারস্থ হন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিধাননগর পুরভোটে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। ভোটের দিনই হকি স্টিক, বাঁশ হাতে তাণ্ডব করতে দেখা যায় দুষ্কৃতীদের। সাত বছর আগের সেই হামলা, ভোটারদের মারধর করার কথাও আদালতেও উল্লেখ করে বিজেপি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE