Advertisement
E-Paper

খালের স্থির জলেই মশার বাড়বাড়ন্ত

বিধাননগর পুরসভা এবং রাজ্য সেচ ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, দু’টি খালের উপরে যে কাজ চলছে তা দ্রুত শেষ করা হচ্ছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:০৬
Share
Save

মশা নিয়ন্ত্রণ করতে বছরের গোড়ায় নৌকা নামানোর কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, যার অন্যতম কারণ চিৎপুর লকগেট এবং ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন চ্যানেলের কিছু উন্নয়নমূলক কাজ। যার জেরে দু’টি খালের জলপ্রবাহ স্তব্ধ হয়ে যায়। সূত্রের খবর, দ্রুত সেই কাজ শেষ হতে চলেছে। ছাড়া হয়েছে কিছুটা জল। কেষ্টপুর খালে ইতিমধ্যেই নৌকা নামিয়ে ওষুধ স্প্রে শুরু হয়েছে।

যার জেরে সল্টলেকের খালপাড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা মশার দাপটে দরজা-জানলা খুলে রাখতে পারছেন না। এক বাসিন্দা তমাল বসুর অভিযোগ, খাল সংলগ্ন এলাকায় বছরভর মশার দাপট থাকে। সমস্যা যদি খালের কারণেই হয়, তবে এ বিষয়ে স্থায়ী সমাধানের কথা ভাবুক প্রশাসন। বাসিন্দাদের দাবি, চলতি বছরের গোড়া থেকে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে মশাবাহিত রোগে লাগাতার আক্রান্ত হচ্ছেন বিধাননগরের অসংখ্য মানুষ। এমনকি মৃত্যুও আটকানো যায়নি। প্রতি বারের মতোই গত বছরও বলা হয়েছিল নতুন বছরের গোড়া থেকে মশা দমনে বিশেষ পদক্ষেপ করবে পুরসভা। তবু কেন এমন অবস্থা?

পুরসভার এক আধিকারিক জানান, এর কারণ পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, সল্টলেকের দু’পাশে কেষ্টপুর এবং ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলে জল প্রবাহ না থাকায় এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণেই খালে নৌকাও চালানো যায়নি। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সেচ ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। খালের কচুরিপানা সরানো হয়েছে এবং অল্প পরিমাণে জল ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, চিৎপুর লকগেটের মেরামতির কারণে জল ছাড়া বন্ধ ছিল। এ জন্যেই কেষ্টপুর খালে জলের প্রবাহ ছিল না। আবার ইএম বাইপাস সংলগ্ন ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের মুখে ফুটওভার ব্রিজ তৈরির কাজ চলছে। এই কারণে ওই চ্যানেলেও জলপ্রবাহ রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল।

বিধাননগর পুরসভা এবং রাজ্য সেচ ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, দু’টি খালের উপরে যে কাজ চলছে তা দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। সম্প্রতি কেষ্টপুর খালে অল্প জল ছাড়া শুরু হয়েছে। সেখানে নৌকা নামিয়ে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, স্লুইস গেট থেকে জল ছাড়া হয়েছে ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলেও। সেখানে নৌকা নামানো হয়েছে। দু’টি খালেরই কচুরিপানা ও আবর্জনা সরানো হয়েছে।

মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, বছরের গোড়া থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা ছিল। তবে দু’টি খাল পরিষ্কার ও একটি সরকারি প্রকল্পের কাজ চলায় এত দিন জল ছাড়া যায়নি। দফতরের সঙ্গে কথা বলে আপাতত কিছুটা জল ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় কোথাও জল জমে রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Mosquito Canal Stagnant Water Bidhannagar Municipality

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}