সোমবার হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকেরা ব্রঙ্কোস্কোপি করে বাঁশিটি বার করেন। প্রতীকী ছবি।
প্রচণ্ড কাশি কিছুতেই কমছিল না। সেই সঙ্গে হচ্ছিল শ্বাসকষ্টও। স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেলে পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা জানান, চার বছরের শিশুটির বুকে জল জমেছে। কিন্তু জল বার করা যায়নি। প্রায় ৪৫ দিন ধরে এমন সমস্যা চলার পরে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয় শিশুটিকে। সেখানে ধরা পড়ে, ফুসফুসে আটকে রয়েছে একটি বাঁশি।
সোমবার ওই হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকেরা ব্রঙ্কোস্কোপি করে সেটি বার করেন। এখন স্থিতিশীল রয়েছে মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা মহম্মদ হামিম আনসারি। পরিজনেরা জানাচ্ছেন, গত ৭ এপ্রিল খেলার সময়ে আচমকাই কিছু একটা গিলে ফেলেছিল শিশুটি। কিন্তু সেটি কী, তা বুঝতে পারেননি তাঁরা। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনিও বুঝতে পারেননি। কয়েক দিন পরে শুরু হয় কাশি ও শ্বাসকষ্ট। তখন মালদহ মেডিক্যাল কলেজে গেলে এক্স-রে করে চিকিৎসকেরা জানান, বাঁ দিকের ফুসফুসে একটি সাদা ছোপ দেখা যাচ্ছে। জল জমেছে বলে সন্দেহ করে বুকের বাঁ দিকে পাইপ লাগানো হয়। কিন্তু তাতেও জল বেরোয়নি।
মালদহ থেকে শিশুটিকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের কার্ডিয়োথোরাসিক বিভাগে পাঠানো হয়। সেখানে ব্রঙ্কোস্কোপি করে চিকিৎকেরা জানান, ফুসফুসে কিছু একটা আটকে রয়েছে। পিজি-র ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেন, “এনআরএসে চিকিৎসা করিয়ে ফিরে গেলেও শুরু হয় কাশি, শ্বাসকষ্ট। এর পরে শিশুটি আমাদের কাছে আসে।” গত শনিবার ইএনটি-র বহির্বিভাগে তাকে পরীক্ষা করে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক দেবাশিস ঘোষ, সৌগত রায়েরা। এ দিন দেবাশিস ঘোষ ব্রঙ্কোস্কোপি করে বাঁ দিকের ফুসফুসের পাশে আটকে থাকা প্রায় এক সেন্টিমিটারের বাঁশিটি বার করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy