প্রতীকী ছবি।
অধিকাংশ এলাকা থেকেই নেমে গিয়েছে বৃষ্টির জমা জল। এ বার ওই সমস্ত অঞ্চলে কোনও রোগের সংক্রমণ যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সাফাইকাজের পাশাপাশি ব্লিচিং পাউডার ও মশার তেল ছড়ানো শুরু হয়েছে দমদম এবং উত্তর দমদম পুরসভা এলাকায়।
চলতি সপ্তাহেই লাগাতার বৃষ্টির জেরে উত্তর দমদম, দমদম এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জল নামতে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ওই সমস্ত পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে করোনা প্রতিরোধের কাজও। উত্তর দমদম পুর এলাকায় আবার এরই মধ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বিষয়টি নজরে আসতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শিবির তৈরি করে প্রতিষেধক দেওয়ার বন্দোবস্ত
করেছে পুরসভা।
সম্প্রতি লাগাতার বৃষ্টির জেরে উত্তর দমদম পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। জল নামতে লেগে যায় দু’দিন। পুরসভার দাবি, পুকুর, খাল ও জলাশয় উপচে পড়ায় জল নামতে সময় লেগেছে। এ ছাড়া, নিচু এলাকাগুলিতে এমনিতেই জল জমে যায়। পুরসভার মুখ্য প্রশাসক বিধান বিশ্বাস জানান, জমা জল নামার পরে অনেক সময়ে নানা রোগভোগ দেখা দেয়। সেই কারণেই এলাকা পরিষ্কার করে ব্লিচিং ও মশার তেল ছড়ানোর বিশেষ
অভিযানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের মতে, ব্লিচিং ও মশার তেল যতটা ছড়ানো হচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। আরও বেশি করে তা ছড়ানো দরকার।
জল নেমে যেতে দমদম পুর এলাকাতেও প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্লিচিং ছড়ানোর পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়েছে। ওই পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বরুণ নট্ট জানান, সপ্তাহে দু’দিন মশার তেল ও ব্লিচিং ছড়ানোর কাজ হচ্ছে। বর্ষা শেষ হয়ে গেলে বা কোনও পুজো-পার্বণের আগেও এই কাজ করা হয়।
দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পুর এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এলাকা পরিষ্কার করে ব্লিচিং এবং মশার তেল ছড়ানোর কাজও অবিলম্বে শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy