— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে কয়েক বছর আগে নির্ভয়া তহবিলের টাকায় বিভিন্ন জ়োনে লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরায় সিসি ক্যামেরা বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছিল রেল। কিন্তু নানা কারণে সেই কাজ বিশেষ এগোয়নি। তবে, লোকাল ট্রেনে একাধিক সুরক্ষাকবচ যোগ করার বিষয়টি আলোচনার মধ্যে ছিল। তার মধ্যে অন্যতম, মহিলা কামরায় সিসি ক্যামেরা বসানো এবং ‘টক ব্যাক’ সুবিধা। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির তৈরি সাম্প্রতিক রেকগুলি এমন একাধিক উন্নত বৈশিষ্ট্যের জন্য নজর কাড়ছে। শিয়ালদহ ডিভিশনে এই ধরনের রেক ইতিমধ্যেই পরিষেবা দিতে শুরু করেছে। এ বার হাওড়া ডিভিশনেও সেগুলির ব্যবহার শুরু হল।
১২ কোচের নতুন এই রেকের প্রতিটি কামরায় একাধিক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। যার ছবি চালক তাঁর কেবিনে থাকা মনিটর থেকে দেখতে পাবেন। এ ছাড়াও মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষায় যোগ হয়েছে ‘টক ব্যাক’ প্রযুক্তি। অর্থাৎ, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মহিলা যাত্রীরা চালক বা গার্ডের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।
পাশাপাশি, ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ কিংবা ওভারহেড কেবলের সমস্যা নজরে রাখার জন্য এই রেকে ক্যামেরা থাকছে। চালকের কেবিন, ট্রেনের সামনে এবং পাশেও থাকছে ক্যামেরা। নতুন রেকের কামরায় বসার আসন ইস্পাতের। দুর্ঘটনার অতিরিক্ত অভিঘাত সহ্য করার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে এই রেককে। রিজেনারেটিভ প্রযুক্তির ব্রেকিং ব্যবস্থায় ব্রেক কষার সময়ে শক্তির অপচয় কম হয়। খরচ হওয়া বিদ্যুৎ শক্তির ৩০ শতাংশ পর্যন্ত যান্ত্রিক শক্তি থেকে ফেরত আসে। জরুরি প্রয়োজনে বার্তা দিতে চালকের কেবিনে রয়েছে প্যাসেঞ্জার অ্যাড্রেস সিস্টেম।
ট্রেন দাঁড়ানো অবস্থায় যাতে ঢালু দিকে গড়িয়ে না যায়, সে জন্য বিশেষ প্রযুক্তির ব্রেক রয়েছে। শিয়ালদহ ডিভিশনে ইতিমধ্যেই এই রেকগুলির স্বাচ্ছন্দ্য যাত্রীদের নজর কাড়ছে। রেলকর্তাদের আশা, নতুন রেকের উন্নত প্রযুক্তি পরিষেবা মসৃণ করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy