Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Calcutta High Court

কারখানার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরে ওই ৩৫০ একর জমি কেন পেলেন সৌরভ, শুনবে হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ

সৌরভকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ইস্পাত কারখানার জন্য যে জমি দেওয়া হয়েছে, সেটি আগে ছিল প্রয়াগ গোষ্ঠীর ‘ফিল্মসিটি’ প্রকল্পের জমি। পরে চিটফান্ড মামলায় প্রয়াগের নাম জড়ানোয় ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।

Special bench of Calcutta High Court to hear land related matter that was given to Sourav Ganguly for factory dgtl

হাই কোর্টে সৌরভের কারখানার জমি সংক্রান্ত বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৪৪
Share: Save:

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইস্পাত কারখানার জন্য জমি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাই কোর্টের চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার বিশেষ বেঞ্চে। পশ্চিম মেদিনীপুরে কারখানা তৈরির জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা শিল্পপতি সৌরভকে রাজ্য জমি দিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর দাবি, এক টাকায় জমি দেওয়া হয়েছে। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। প্রসঙ্গত, চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানি বিশেষ বেঞ্চে বর্তমানে রয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত।

উল্লেখ্য, অতীতে পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘ফিল্মসিটি’ তৈরির জন্য প্রয়াগ গোষ্ঠীকে ৭৫০ একর জমি দিয়েছিল রাজ্য। ওই জমির জন্য এবং ‘ফিল্মসিটি’ প্রকল্পের কাজে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল প্রয়াগ গোষ্ঠী। কিন্তু পরবর্তী সময়ে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় ওই সংস্থার। আমানতকারীদের জমানো ২৭০০ কোটি টাকা ওই ‘ফিল্মসিটি’ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলায় সেই সময় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এসপি তালুকদারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিল হাই কোর্ট। এর পর আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর উদ্দেশ্যে রাজ্যও প্রয়াগ গোষ্ঠীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির তালিকায় ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের এই ৭৫০ একর জমিও। কিন্তু সেটির এখনও পর্যন্ত কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। আমানতকারীদের সকলে এখনও টাকা ফেরত পাননি।

এরই মধ্যে ওই জমিতেই কারখানা বানানোর জন্য সৌরভকে সেখান থেকে ৩৫০ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগের বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই কেন প্রয়াগ গোষ্ঠীর বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি আবার অন্যকে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন এসকে মাসুদ নামে এক আমানতকারী।

মামলাকারীর আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার আদালতে বলেন, “প্রয়াগ গোষ্ঠীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। সেই মতো ওই জমি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা পাইয়ে দেওয়া উচিত।” কিন্তু তা না করে রাজ্য কী ভাবে সৌরভকে কারখানা তৈরির জন্য এক টাকায় ৯৯৯ বছরের জন্য ওই জমি লিজে দিল? তা নিয়েই আদালতে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীর আইনজীবী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE