Advertisement
E-Paper

মশা নিধনে ড্রোন উড়ল দক্ষিণ দমদমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে

দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, পুর এলাকায় ডেঙ্গি এবং জ্বর মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। চলতি মরসুমে পাঁচ জন ডেঙ্গিতে, তিন জন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।

An image of Drone

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৪৭
Share
Save

কলকাতা পুর এলাকার যে সব জায়গায় পুরকর্মীদের পক্ষে ঢুকে মশা মারার তেল বা ওষুধ দেওয়া সম্ভব নয়, সেই সব জায়গা ইতিমধ্যেই ড্রোনের সাহায্যে চিহ্নিত করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানে দেওয়া হয়েছে রাসায়নিক। অনেকটা সেই পথে হেঁটে এ বার দক্ষিণ দমদমেও ড্রোনের মাধ্যমে মশা মারার ওষুধ ছড়ানো হল। তবে সার্বিক ভাবে পুরসভার ব্যবস্থাপনায় নয়, রবিবার এই কর্মসূচি হয় দক্ষিণ দমদমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। উদ্যোক্তা ছিলেন স্থানীয় পুর প্রতিনিধি সুকান্ত সেনশর্মা। তিনি জানান, সপ্তাহের প্রতি শনি এবং রবিবার এই কাজ হবে।

সুকান্ত জানাচ্ছেন, তাঁর ওয়ার্ডে এমন একাধিক ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত কারখানা রয়েছে যেখানে যন্ত্র নিয়ে গিয়ে মশা মারার ওষুধ দিতে পারছেন না পুরকর্মীরা। সেই সব জায়গা ড্রোন উড়িয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী দিনে বিভিন্ন বহুতলের ছাদেও এ ভাবে মশা মারার ওষুধ ছড়ানোর পরিকল্পনা আছে। তিনি জানান, স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশে এই কাজ হয়েছে। এই ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুর প্রতিনিধির দাবি, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তদের ৭০ শতাংশই সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ থেকে ১২ জন।

দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, পুর এলাকায় ডেঙ্গি এবং জ্বর মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। চলতি মরসুমে পাঁচ জন ডেঙ্গিতে, তিন জন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে দু’জন পড়ুয়া। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়মিত মশার তেল ছড়ানো, ঝোপ-জঙ্গল সাফ করা, নিকাশি নালা পরিষ্কার রাখা, জমা জল দ্রুত সরানোর ক্ষেত্রে কাজের মান আশানুরূপ নয়।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্ত জানান, কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু জায়গায় মশার আস্তানা চিহ্নিত করতে সমস্যা হচ্ছিল। তখনই ড্রোনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হয়। সামগ্রিক ভাবে পুরসভার ব্যবস্থায় এই কাজ হলে ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজে গতি আসবে বলেও দাবি তাঁর। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে সেই আর্জি তিনি জানাবেন। চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, এ ভাবে পুর প্রতিনিধিরা এগিয়ে এলে মশাবাহিত রোগের মোকাবিলা সহজ হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dengue South Dum Dum South Dum Dum Municipality Drone

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}