নিষেধাজ্ঞা: টালা সেতুতে ভারী যানের প্রবেশ বন্ধের নোটিস। রবিবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
সেতু বিপর্যয়ের পরে বেহালার বিভিন্ন গন্তব্য থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত শাট্ল বাস চালিয়ে সুফল পেয়েছিল পরিবহণ দফতর।
রবিবার থেকে টালা সেতুতে বাস বন্ধ হওয়ার পরে যাত্রীদের চাপ সামলাতে সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন দফতরের কর্তারা। উত্তর কলকাতার বিভিন্ন গন্তব্য থেকে কী ভাবে যাত্রীদের রেল এবং মেট্রোমুখী করে তোলা যায়, তার পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। এর জন্য ছোট দূরত্বে শাট্ল বাস চালানোর পাশাপাশি অটোর কিছু রুট পুনর্বিন্যাস করার কথাও ভাবছে পরিবহণ দফতর। আগামী বুধবারের মধ্যে ওই পরিকল্পনা কার্যকর করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই নোয়াপাড়া থেকে ট্রেন বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে দফতরের তরফে মেট্রোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পরিবহণ দফতরের খবর, মাঝেরহাট সেতুর তুলনায় টালার পরিস্থিতি জটিল। দক্ষিণে মাঝেরহাট সেতুর সমান্তরালে একাধিক রাস্তা থাকায় যত সুবিধা পাওয়া গিয়েছিল, টালার ক্ষেত্রে তা পাওয়া মুশকিল। কারণ, বি টি রোডের চাপ নেওয়ার মতো সমান্তরাল রাস্তা নেই। সেই জন্য এক দিকে রথতলা-ডানলপ অঞ্চল থেকে দমদম স্টেশন সংলগ্ন ১১এ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বাস চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি সিঁথি থেকে নোয়াপাড়ার মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করারও ভাবনা রয়েছে। চিড়িয়ামোড়ের পরে যেহেতু মধ্য কলকাতার দিকে বাস আসতে দেওয়া হচ্ছে না, তাই সিঁথি এবং নোয়াপাড়ার মধ্যে যোগাযোগ তৈরি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সে কারণে নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ছোট বাস চালানোর পাশাপাশি অটোর উপরেও নির্ভর করতে চাইছেন পরিবহণ কর্তারা।
এ ছাড়া হাওড়ার যাত্রীদের কথা ভেবে ডানলপ-রথতলা থেকে বালি হয়ে হাওড়া পর্যন্ত ছোট শাটল্ বাসের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। একই সঙ্গে মধ্য এবং দক্ষিণ কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে মাঝেরহাট থেকে বি বা দী বাগ এবং বাগবাজার হয়ে কলকাতা স্টেশন পর্যন্ত চক্ররেলের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবও রেলকে দেওয়া হতে পারে।
মেট্রো সূত্রের খবর, পুজোয় ভিড়ের কথা ভেবে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে ১১১ করা হয়েছে। তবে ওই সংখ্যা খুব বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়। কারণ, নোয়াপাড়া থেকে ট্রেন ঘুরিয়ে ফিরতি পথে রওনা করার ক্ষেত্রে ক্রসওভারে কিছু সমস্যা রয়েছে। ফলে একটি ট্রেন নোয়াপাড়া পৌঁছে যাত্রী নামানোর পরে ফের যাত্রী তুলে না বেরোনো পর্যন্ত ওই প্ল্যাটফর্মে আর ট্রেন ঢোকা সম্ভব নয়। এই প্রসঙ্গে মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সব ট্রেন নোয়াপাড়া থেকে ছাড়তে গেলে যে অতিরিক্ত সময় খরচ হবে, তাতে সার্বিক পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। ফলে সব দিক খতিয়ে দেখেই মেট্রোর তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy