বাবুঘাটে রবিবার রাতে এক লরিচালক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। —প্রতীকী চিত্র।
খাস কলকাতায় শুটআউট। গভীর রাতে বাবুঘাটে গুলি করা হল এক লরিচালককে। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রাতেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।
বাবুঘাট এলাকার বাজেকদমতলা ঘাটে রবিবার রাত ২টো নাগাদ গুলি চলেছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ লরিচালকের নাম কান্তি সিংহ। তিনি হাওড়ার বাসিন্দা। বালিবাহী লরি চালাতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই বালির দর কষাকষি করতে গিয়েই বচসায় জড়িয়ে পড়েন। মনে করা হচ্ছে, তার জেরেই লরিচালককে গুলি করা হয়েছে। তবে বিশদ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোহিনুর মার্কেট এলাকায় বালিভর্তি লরি নিয়ে যাওয়ার বরাত পেয়েছিলেন চালক। তাঁর মালিকের সঙ্গে লরির জন্য ৩৩ হাজার টাকায় রফা হয়। অভিযোগ, ফোনে ৩৩ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বললেও লরি পৌঁছলে ২৮ হাজার টাকা দেওয়া হয় তাঁকে। এর পর লরিচালক মালিককে ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি লরি ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মূল অভিযুক্তের নাম টিঙ্কু। তিনিই গুলি চালিয়েছেন বলে খবর। বালিভর্তি লরি বাবুঘাটে ফিরে এলে তিনি এবং তাঁর কয়েক জন সঙ্গী লরির পিছু নেন। বাবুঘাটে পৌঁছে লরিচালকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। অন্য লরিচালকেরাও তাতে যোগ দেন। শেষে গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালান অভিযুক্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরিফ, আসিফ এবং দানিশ নামের তিন যুবক। এঁদের মধ্যে আসিফ এবং আরিফকে ময়দান থানার পুলিশ রাতে গ্রেফতার করেছে। অস্ত্র আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।
শুটআউটের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল ময়দান এবং উত্তর বন্দর থানার পুলিশ। লরিচালককে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে আপাতত তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার মাধ্যমে মূল অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা। ধৃতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাতের কলকাতায় গুলি চলায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বাবুঘাট এলাকায় রয়েছে উত্তেজনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy