এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দু’টি পৃথক ঘটনায় শুক্রবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শহরের দুই প্রান্ত। অভিযোগ, দু’জায়গাতেই সামান্য ঘটনা থেকে তা সংঘর্ষের আকার নেয়। পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথম ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ নারকেলডাঙা থানা এলাকায়। অভিযোগ, মোটরবাইক রাখা নিয়ে দু’জনের মধ্যে গোলমাল হয়। সেই সময়ে এক অভিযুক্তের কুকুর অন্য জনকে কামড়ে দেয়। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। যা গোষ্ঠী সংঘর্ষের চেহারা নেয় বলে দাবি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের লক্ষ্য করেও ইট ছোড়া হয়। এমনকি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। তাতে জখম হয়েছেন এক পুলিশকর্মী। তবে তাঁর আঘাত গুরুতর নয় বলে খবর। ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন সাত পুলিশ আধিকারিক।
রাতেই অবস্থা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিরাট বাহিনী। আসেন কলকাতার নগরপাল মনোজবর্মাও। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়েএবং লাঠি চার্জ করে ভোরের দিকে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার সকালে ফের দুই গোষ্ঠীর লোকজন জড়ো হলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচলস্বাভাবিক করে।
লালবাজার অবশ্য দাবি করেছে, নারকেলডাঙার ঘটনা নিয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে সমাজমাধ্যমে। প্রকৃত ঘটনা হল, সেখানে দু’টি মোটরবাইক রাখা নিয়ে অশান্তি তৈরি হয়েছিল। তা নিয়েই দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। সেই কথা কাটাকাটি চরম আকার নেয়। ওই ঘটনায় পুলিশ চারটি মামলা রুজু করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে।
একই রাতে অন্য ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার একাংশ। পকসো মামলায় ধৃত এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘিরে সেই গোলমালের সূত্রপাত। যা পরে সংঘর্ষের আকার নেয়। এখানে বিরাট পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রথমে পুলিশ লাঠি চার্জ করে এবং পরে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইটের আঘাতে জখম হন ১১ জন পুলিশ অফিসার। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। বাস্তবে একটি পকসো মামলা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। ওই মামলায় ধৃতের সমর্থক ও অভিযোগকারীর পক্ষের মধ্যে বাধে গোলমাল। এলাকার কয়েক জন বাসিন্দার তরফে পাথর ছোড়া ও ভাঙচুর করা হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করলে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় পুলিশ তিনটি মামলা রুজু করে আট জনকে গ্রেফতার করেছে।
লালবাজারের দাবি, দু’জায়গাতেই পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করে নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy