—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মঙ্গলবার রাত ২টো থেকে বুধবার সকাল ৬টা। চার ঘণ্টা ধরে একনাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় এ দিন কলকাতার একাধিক এলাকা দুপুর পর্যন্ত জলমগ্ন রইল। কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সব চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গড়িয়ার কামডহরিতে (১১১ মিলিমিটার)। এ ছাড়াও, বালিগঞ্জে ৫৯ মিলিমিটার, ধাপায় ৩৬ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৩৭ মিলিমিটার, মানিকতলায় ২৪ মিলিমিটার ও মোমিনপুরে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এ দিন সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হলেও তীব্রতা ছিল কম। ওই সময়ের মধ্যে সব চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বালিগঞ্জ (৩৩ মিলিমিটার) ও কামডহরিতে (২৬ মিলিমিটার)। রাতভর বৃষ্টিতে উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। উত্তরের ঠনঠনিয়া, মহাত্মা গান্ধী রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, মুচিপাড়া, ফুলবাগান ও বেলেঘাটার বেশ কিছু রাস্তা দীর্ঘক্ষণ জলমগ্ন ছিল। সকালের দিকে আকাশ কালো থাকায় আলো জ্বালিয়েই চলাচল করেছে গাড়ি। বৃষ্টির জন্য তীব্র যানজটও হয়।
এ দিন সকালে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া স্ট্রিটে একটি বড় গাছ ভেঙে পড়ায় যানজট হয়। পরে পুলিশ ও পুর উদ্যান বিভাগের কর্মীরা গিয়ে ভেঙে পড়া গাছটি সরিয়ে দেন। বৃষ্টিতে ৮১ ও ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি গাছ ভেঙে পড়েছে। এ দিন ই এম বাইপাসের রুবি ও মুকুন্দপুর এলাকাও জলমগ্ন ছিল। ওই এলাকায় নিকাশির কাজ হওয়ায় রাস্তার অবস্থা এমনিতেই খারাপ। জল জমেছিল পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়, বেহালা, হরিদেবপুর, পাটুলিতেও। পুর আধিকারিকেরা অবশ্য জানান, বৃষ্টিতে শহরের নিচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হলেও তা বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। জল তাড়াতাড়ি নেমে গিয়েছে।
ভারী বৃষ্টিতে খিদিরপুর-একবালপুর এলাকায় জল জমার সমস্যা বহু দিনের। এ দিনও বৃষ্টিতে কিছুটা জল জমেছিল সেখানে। জল জমার এই সমস্যা দূর করতে প্রায় ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে নবাব আলি পার্কে তৈরি হয়েছে পাম্পিং স্টেশন। মঙ্গলবার সেই পাম্পিং স্টেশন পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয়েছে। এর ফলে এই বর্ষায় খিদিরপুর-একবালপুর অঞ্চলে জল জমার সমস্যা অনেকটা মিটবে বলে দাবি করেছে পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy