সেনার উর্দি পরে যাদবপুরে কারা! — ফাইল ছবি।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে ডামাডোলের মধ্যেই সেনার পোশাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়েছিলেন বেশ কয়েক জন। তাঁরা নিজেদের ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’র সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু সেনার পোশাকে কেন ক্যাম্পাসে, সে প্রশ্নের সদুত্তর এখনও মেলেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল হিসাবে যাঁর নাম ছিল, সেই কাজি সাদিক হোসেনকে শনিবার রাতে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদবপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
ছাত্রমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হওয়া যাদবপুরে গত বুধবার সকালে হঠাৎ দেখা যায়, সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সেনার উর্দিধারীরা। প্রশ্ন ওঠে, তাঁরা কারা? ভারতীয় সেনা, না কি আধাসেনা? এর পর যাদবপুর থানার এক সাব ইনস্পেক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনার পোশাক অপব্যবহারের অভিযোগে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু হয়। তাতে বলা হয়, গত বুধবার বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে কাজি সাদেক হোসেন নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। প্রত্যেকেরই পরনে ছিল ভারতীয় সেনার পোশাক। মাথায় লাল টুপিতে লেখা ছিল ‘ভারতীয় সেনা’। ব্যবহার করা হয়েছিল ভারতীয় সেনার প্রতীকও। জানা গিয়েছে, ওই দলটি ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের। কাজি ওই সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবারই কাজিকে নোটিস পাঠিয়ে থানায় হাজির হতে বলা হয়েছিল। প্রথমে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার রাতের দিকে অবশ্য গার্ডেনরিচ থানায় এসে সেই নোটিস গ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু শনিবার দিনভর তাঁকে যাদবপুর থানায় আসতে দেখা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে তাঁকে গার্ডেনরিচ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদবপুর থানায় তাঁকে হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত বুধবার সেনার উর্দিধারীদের প্রশ্ন করে জানা গিয়েছিল, তাঁরা সেনা বা আধাসেনা— কোনও পক্ষ থেকেই আসেননি। সেনার নকল পোশাক পরে আসা ওই দলের নেতা দাবি করেন, “আমরা বিশ্ব শান্তি সেনা।” যদিও কেন তাঁরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসেছেন, কারাই বা তাঁদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। সেই ধোঁয়াশা কাটাতেই যাদবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেলকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy