তোড়জোড়: স্কুলে চলছে প্রস্তুতি। মঙ্গলবার, হাওড়া ময়দান এলাকায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা আগামী ১২ তারিখ খুলে গেলেও এইশিক্ষাবর্ষ, অর্থাৎ ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুলের ফি বাড়ানো হবে না বলেই জানিয়ে দিলেন শহরের অধিকাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি জানিয়েছেন, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলে গেলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনই ফি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কৃষ্ণ বলেন, ‘‘৩১ মার্চ পর্যন্ত আমাদের স্কুল কোনও রকম ফি বাড়াবে না। করোনার কারণে হাইকোর্টের নির্দেশে পড়ুয়ারা যে ছাড় এখন পাচ্ছে, তা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্তই পাবে।’’
একই কথা বলেছেন রামমোহন মিশন স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘হাইকোর্টের রায়ের পরেই আমরা অভিভাবকদের জানিয়ে দিয়েছিলাম, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ফি বাড়ানো হবে না। আদালতের নির্দেশে যে ছাড় পড়ুয়ারা পাচ্ছে, তা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া যাবে। সেই সিদ্ধান্তই আমরা আপাতত বহাল রাখছি।’’
ডিপিএস নর্থ কলকাতার অধ্যক্ষা সুজাতা চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ধার্য হওয়া ফি ৩১ মার্চ পর্যন্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা জানি যে, কোভিড পরিস্থিতির জন্য অনেক অভিভাবকেরই জীবন ও জীবিকা নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা ৩১ মার্চ পর্যন্ত যে ছাড় দিয়েছিলাম, সেই ছাড়ই চলবে।’’ নিউ টাউন স্কুলের সিইও বিনীত কানসাল জানিয়েছেন, তাঁরাও ৩১ মার্চ পর্যন্ত ফি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্কুল খোলার পরেই তাঁরা বিষয়টি ফের নিজেদের মধ্যে পর্যালোচনা করে দেখবেন।
তবে লা মার্টিনিয়ারের সচিব সুপ্রিয় ধর অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, স্কুল খুললেই ফি আগে যা ছিল, সেই অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিয়বাবু বলেন, ‘‘আমাদের ইচ্ছে আছে, স্কুল খুললেই আমরা আমাদের পুরনো ফি-তে চলে যাব। আমাদের পক্ষে আর কোনও ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।’’
অভিভাবকদের একটি সংগঠন ‘ইউনাইটেড গার্ডিয়ান্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের অবশ্য অভিযোগ, কয়েকটি স্কুল এখন হাইকোর্টের নির্দেশ না মেনে আগের হারেই ফি নিচ্ছে। যে সমস্ত পরিষেবা স্কুল এখন দিচ্ছে না, তার ফি-ও নেওয়া হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। সুপ্রিয়বাবু বলেন, ‘‘৩১ মার্চের পরে নতুন শিক্ষাবর্ষেও যাতে ফি না বাড়িয়ে ২০২০-’২১ সালে ধার্য হওয়া পুরনো ফি নেওয়া হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি আমরা। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি পাঠানো হচ্ছে আমাদের তরফে।’’
অন্য দিকে, কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষের আবার অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ফি-তে ছাড় দেওয়ার পরেও কিছু অভিভাবক নিয়মিত ফি দিচ্ছেন না। সেই কারণে আর্থিক সঙ্কটে স্কুল চালানো দিনদিনই কঠিন হয়ে পড়ছে তাঁদের পক্ষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy