প্রতীকী চিত্র।
অফলাইনে নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস শুরু হয়েছিল আগেই। এ বার কেন্দ্র ওই সব শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন অভিভাবকেরা। শহরের বেসরকারি স্কুলগুলিও জানাচ্ছে, তারা ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিতে শুরু করেছে। পরশু, সোমবারেই কলকাতার কিছু সরকারি স্কুলে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে সূত্রের খবর। কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, তাঁরা নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের বলেছেন, যাদের জন্ম ২০০৭ সালে বা তার আগে, তারা যেন কোউইন পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করিয়ে নেয়।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি জানালেন, তাঁদের স্কুলে এমন পড়ুয়া প্রায় তিন হাজার। আগামী ৩ বা ৪ জানুয়ারি থেকেই তাদের প্রতিষেধক প্রদান কর্মসূচি শুরু হবে। কৃষ্ণ বলেন, ‘‘একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ হবে। স্লট বুক করে পড়ুয়ারা আসবে।’’
নতুন বছর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণ যে হারে ঊর্ধ্বমুখী, তাতে আতঙ্কিত অভিভাবকেরা। সিবিএসই বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী অনন্যা রায়ের কথায়, “আমাদের প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় সিমেস্টার এপ্রিলে অফলাইনে হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা যে ভাবে আবার বাড়তে শুরু করেছে, তাতে প্রতিষেধক নেওয়া থাকলে অনেক নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দিতে পারব।’’ শ্রীশিক্ষায়তনের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য জানান, তাঁদের স্কুলে কলকাতা পুরসভা এবং একটি বেসরকারি হাসপাতাল— দুইয়ের সঙ্গেই প্রতিষেধক দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কলকাতার রামমোহন মিশন হাইস্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় এম আর বাঙুর হাসপাতালের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পড়ুয়াদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হবে। ২০০৭ বা তার আগে জন্মেছে, এমন সাড়ে পাঁচশো জন পড়ুয়া স্লট বুক করে প্রতিষেধক নেবে। প্রতিষেধক মিলবে নিখরচায়। আগামী ৩ জানুয়ারি অনলাইনে সব তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ মডার্ন হাইস্কুল ফর গার্লসের ডিরেক্টর দেবী কর জানান, পড়ুয়াদের প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য একটি হাসপাতালের সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা চলছে। ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহাও বলেন, ‘‘৩ তারিখ থেকেই আমরা এই কর্মসূচি শুরু করব।’’
ডিপিএস রুবি পার্ক স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সোমবার স্কুল খুললে তাঁরা এই বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করবেন। কত জন পড়ুয়া প্রতিষেধক নিতে পারবে, তার একটি তালিকা ইতিমধ্যেই পুরসভায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলের পড়ুয়াদের পাশাপাশি অন্য স্কুলের পড়ুয়াদেরও প্রতিষেধক দেওয়া যেতে পারে কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।’’
শিয়ালদহ টাকি বয়েজ়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা বসাক জানান, প্রতিষেধক দেওয়ার আগে স্কুলভবন ও চত্বর জীবাণুমুক্ত করা হবে। স্বাগতাদেবী বলেন, “আমাদের স্কুলে আগে শিক্ষকদের প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। ফলে এখানে সেই পরিকাঠামো আছে। আমরা পড়ুয়াদের বলেছি, তারা যেন ঠিক সময়ে কোউইন পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করিয়ে নেয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy