প্রতীকী ছবি।
কোনও কোভিড আক্রান্ত সেফ হোমে থাকলে এত দিন বাড়ির লোকেরা চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে রোগীর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পারতেন না। এই ব্যবস্থা পাল্টাতে চলেছে কলকাতা পুরসভা পরিচালিত আলিপুরের ‘উত্তীর্ণ’ সেফ হোমে। সেখানে এ বার রোজ বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রোগীর পরিজনেরা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।
‘উত্তীর্ণ’ সেফ হোমের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ পরিবর্তন আনতে চলেছে পুর প্রশাসন। কোভিড হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, এমন কাউকেও এ বার থেকে সেখানে ভর্তি করানো যাবে। পুর স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কোভিডের লক্ষণ রয়েছে এমন রোগীদেরও ওই সেফ হোমে ভর্তি করানো যাবে। এঁদের জন্য ২০টি শয্যা সংরক্ষিত থাকবে।’’
বর্তমানে ‘উত্তীর্ণ’য় মোট ২০০টি শয্যা রয়েছে। যদিও রাজ্য তথা শহরে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকায় সেফ হোমেও রোগীর সংখ্যা কমেছে। মঙ্গলবারের তথ্য অনুযায়ী, আলিপুরে এখন করোনা রোগী রয়েছেন মোট ৩৩ জন। রোগীর সংখ্যা কমলেও কোভিড নিয়ে বিন্দুমাত্র শিথিল মনোভাব দেখাতে নারাজ পুরসভা। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও যে কোনও মুহূর্তে তা ফের বাড়তে পারে। সেই জন্য আমরা প্রস্তুত।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, তৃতীয় ঢেউয়ের কথা ভেবে এখন থেকেই আলিপুর সেফ হোমের কোভিড পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে চায় তারা। যে কারণে আরও ২০০টি শয্যা প্রস্তুত রাখার কথা ভাবা হয়েছে। অর্থাৎ সেখানে মোট ৪০০ শয্যা থাকবে। প্রতিটি শয্যার সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার তো থাকছেই। পাশাপাশি, ‘অক্সিজেন পোর্ট অ্যাকসেস’ পরিষেবাও থাকছে। ওই সেফ হোমের নোডাল অফিসার দীপঙ্কর হাজরার কথায়, ‘‘এক জায়গায় অক্সিজেন মজুত রেখে তা প্রতিটি শয্যায় সরবরাহ করা হবে। সেটাই ‘অক্সিজেন পোর্ট অ্যাকসেস’।’’ ওই সেফ হোমে প্রয়োজনে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy