উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী।
পড়ুয়া-বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বি টি রোড ক্যাম্পাসে নিজের দফতরে ঢুকতে বাধা পেলেন উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। আড়াই ঘণ্টা গাড়িতে অপেক্ষার পরে দুপুর ২টো নাগাদ দফতরে ঢুকতে পারেন তিনি।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, দূরশিক্ষার পাঠ্যবিষয় কমে গিয়েছে। বিএড, স্পেশ্যাল বিএড, অ্যাডাল্ট কন্টিনিউয়িং এডুকেশন কোর্স বন্ধ। বুধবারও সল্টলেক ক্যাম্পাসে দূরশিক্ষা অধিকর্তা আশিসকুমার দাসকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। এ দিন উপাচার্যের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তাঁর দফতরের সামনে পড়ুয়ারা বসে পড়লে গাড়িতে ফিরে আসেন উপাচার্য। পরে দফতরে ঢোকেন।
উপাচার্য জানান, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের (এনসিটিই) বলা বিএড কোর্সের কিছু শর্ত পূরণের চেষ্টা চলছে। স্পেশ্যাল বিএড কোর্সের ক্ষেত্রেও কিছু শর্ত রয়েছে। তবে বড় সমস্যা শিক্ষকের অপ্রতুলতা। অ্যাডাল্ট কন্টিনিউয়িং এডুকেশনের সার্টিফিকেট কোর্সগুলির ভর্তির বিষয়ে একটি কমিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। কমিটির বৈঠক এখনও হয়নি। তিনি আরও জানান, দূরশিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়মিত ইউজিসি-র দূরশিক্ষা বুরোর অনুমোদন নিতে হয়। এ বছর ছ’টি কোর্সের অনুমোদন মিললেও বাকি পাঁচটির মেলেনি। সে বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদনহীন ভাবে কোনও বিষয়ে দূরশিক্ষায় পড়ানো হলে বিশ্ববিদ্যালয়েরই দূরশিক্ষায় পড়ানোর অনুমোদন বাতিল হয়।
সূত্রের খবর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থনে এই আন্দোলন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি নেতা বিশ্বজিৎ (বাপ্পা) দে বলেন, ‘‘দলীয় পতাকা ছিল কি? কী ভাবে বলা হচ্ছে যে, টিএমসিপি-র সমর্থনে আন্দোলন?’’ এ দিনের ঘটনা উপাচার্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ করতে কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে অনুরোধ করব।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy