পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র না মেলায় সুভাষ সরোবরে রোপওয়ে তৈরি নিয়ে জটিলতায় বন্ধ কাজ।
সুভাষ সরোবরে রোপওয়ে তৈরির প্রকল্প আপাতত স্থগিত রাখল কেএমডিএ। কবে এই প্রকল্প ফের চালু করা যাবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই প্রকল্প তৈরির জন্য পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র এখনও মেলেনি। তা ছাড়াও লকডাউন এবং বিভিন্ন কারণে কোনও সংস্থাই এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে চূড়ান্ত ভাবে দফতরকে কিছু জানায়নি। তাই এই প্রকল্প আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, সুভাষ সরোবরের সৌন্দর্যায়নের জন্য গত বছর সংশ্লিষ্ট দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরোবর চত্বরে একটি রোপওয়ে তৈরি করা হবে। শর্তানুযায়ী, সংশ্লিষ্ট দফতর নির্মাণকারী সংস্থাকে সুভাষ সরোবর চত্বর ব্যবহার করতে দেবে। ওই সংস্থা নিজেরাই রোপওয়ে তৈরি করে তা বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করবে। তার বিনিময়ে কেএমডিএ-র কিছু অর্থের সংস্থান হবে।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, এই প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, রোপওয়ে দর্শকদের নিয়ে যাবে সরোবরের দ্বীপে। সেখানে ছোট ছোট রেস্তরাঁ তৈরি করারও পরিকল্পনা ছিল। একটি সংস্থা ইতিমধ্যে যোগাযোগ করলেও পরবর্তী কালে লকডাউনের পরে তারা আর যোগাযোগ করেনি বলেই দাবি কেএমডিএ-র। অন্য নির্মাণকারী সংস্থাও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে এগিয়ে আসেনি।
তা ছাড়াও, এই ধরনের প্রকল্প সুভাষ সরোবরের মতো জায়গায় তৈরি হলে এলাকার বাস্তুতন্ত্র কতখানি সুরক্ষিত থাকবে তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন আগেই ছিল। পরিবেশকর্মীদের একাংশ আপত্তি জানিয়ে বলেন, সরোবরের ওই দ্বীপে রেস্তরাঁ তৈরি হলে জল নষ্ট হবে। এ ছাড়াও খাবারের অবশেষ, প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য পড়েও জল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘নিউ টাউন তৈরির সময়ে ওই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে গাছ কাটা হয়েছিল। সেখানকার অনেক পাখি সুভাষ সরোবরে এসে আশ্রয় নিয়েছে। জলেও প্রচুর মাছ রয়েছে।’’ তিনি জানান, এই পরিবেশে প্রচুর লোক এলেও এলাকার বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হবে। পরিবেশ দফতরও এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু জানায়নি বলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy