এটিএম প্রতারণায় ধৃত সিলভিউ। —ফাইল চিত্র
এ টিএম প্রতারণার টাকা থেকে ইতিমধ্যেই পাঁচ লাখ টাকা বিটকয়েনে পরিবর্তন করে রোমানিয়ায় পাঠিয়েছেন ধৃত প্রতারক সিলভিউ। ওই রোমানীয় প্রতারককে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, দিল্লিতে হওয়া দুই শতাধিক এটিএম প্রতারণার ঘটনাও সিলভিউ এবং তার শাগরেদরাই করেছে।
বুধবার কলকাতা পুলিশের এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, রোমানিয়ায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া সিলভিউ একটি জাহাজ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, প্রথম বার তিনি ভারতে এসেছিল বেড়াতে। সেই সময়ই আলাপ হয় রোমানীয় এটিএম প্রতারকদের সঙ্গে। তার পর সহজে বেশি টাকা রোজগার করার লক্ষ্যেই বেছে নিয়েছিলেন প্রতারণার রাস্তা।
এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘জেরায় সিলভিউ স্বীকার করেছেন, রোমানিয়ায় এই ধরণের প্রতারণা ঘরে ঘরে শেখানো হয়। তারপর যুবকরা বেরিয়ে পড়ে বিভিন্ন দেশের উদ্দেশে।’’ ওই তদন্তকারীর কথায়, অনেকটা আমাদের দেশের জামতাড়ার মতো। ফলে খুব সহজেই প্রতারণার খুঁটিনাটি জেনে গিয়েছিলেন সিলভিউ। যদিও জেরায় তিনি দাবি করেছেন যে, তাঁর কাজ ছিল শুধু কার্ডের চুরি করা তথ্য দিয়ে নকল কার্ড বানিয়ে টাকা তোলা। কিন্তু সিলভিউয়ের মোবাইল এবং ল্যাপটপ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে গোয়েন্দাদের ধারণা, সিলভিউ-ই দলের পাণ্ডা।ট
তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে খবর, প্রতারণা সম্পর্কে কার্যত গোটা একটা তথ্যভাণ্ডার মিলেছে সিলভিউয়ের কাছ থেকে। তাতে লেখা, কোন কার্ডে কত টাকা তোলা হয়েছে, কোন কার্ড ব্লক, কোনটার পিন পরিবর্তন করা হয়েছে— এই সব বিস্তারিত তথ্য। তাতেই গোয়েন্দাদের ধারণা, গোটা চক্রের মাথায় রয়েছে সিলভিউ।
তদন্তকারীদের সিলভিউ জানিয়েছেন, যে দিন তিনি ধরা পড়েন, তার পরের দিনই তাঁরা ঠিক করেছিলেন ভাড়া বাড়ি বদলানোর। স্থানীয় কিছু ট্যাক্সিচালকের মাধ্যমে এবং অ্যাপের মাধ্যমে তাঁরা ঘর ভাড়া করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সিলভিউকে দিয়ে তথ্য চুরি থেকে শুরু করে কী ভাবে ক্লোন কার্ড তৈরি করা হত, তা পুণর্নির্মান করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy