—প্রতীকী চিত্র।
সরকারি জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য কয়েক দিন আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ হাওড়ায় বিদ্যুৎ চুরি-কাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারল, ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র রোডে তৃণমূলের যে অফিস থেকে বিদ্যুৎ চুরি চলছিল, সেই অফিসটি তৈরি হয়েছে রাজ্য পূর্ত দফতরের জমি দখল করে! তদন্তকারীদের দাবি, ওই দলীয় কার্যালয়ের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ও আলোও জ্বলছিল চুরি করা বিদ্যুতে। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে মঙ্গলবার সেই বেআইনি সংযোগ কেটে দেয় পুলিশ, পুরসভা ও সিইএসসি।
হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, নিত্যধন মুখার্জি রোডে পুরসভার ফুলবাজার থেকে বিদ্যুৎ চুরি করে একটি মদের ঠেক এবং মধ্য হাওড়া তৃণমূল স্পোর্টস সেলের পার্টি অফিস চলছিল। ঘর দখল করে গজিয়ে ওঠা ওই মদের ঠেকের আলো এবং তিনটি ফ্রিজ চলার বিদ্যুতের বিলও দিতে হচ্ছিল পুরসভাকে। ঘটনাচক্রে ওই বাড়িতেই রয়েছে হাওড়ার নগরপালের কার্যালয়-সহ একাধিক সরকারি অফিস। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করে পুরসভা। এ দিনই পুর ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ওই ফুলবাজারের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, এ ভাবে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা তাঁদের নজরে এল না কেন?
ওই এলাকার দোকানদারদের বক্তব্য, যে বাড়ির নীচে ওই ফুলবাজার, সেই বাড়ির পিছন দিকে নগরপালের অফিসের দেওয়ালের মাধ্যমে যে ভাবে মোটা কেবল ৩০০ মিটার দূরে টেনে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা এক দিনে হতে পারে না। তাই গোটা ঘটনা পুলিশ বা প্রশাসনের কারও নজরে আসেনি, এটা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি শৈলেশ রাই বলেন, ‘‘যাঁরা এই ঘটনায় জড়িত, দলের রং না দেখে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’’ হাওড়ার পুর
কমিশনার শ্রুতিরঞ্জন মহান্তি বলেন, ‘‘পুরসভার যে নিরাপত্তারক্ষী ফুলবাজারে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁকে শো-কজ় করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy