Advertisement
E-Paper

বাঁশদ্রোণীর দুর্ঘটনাস্থলে রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু করল পুরসভা, তবে চিন্তা ধারাবাহিক বৃষ্টি নিয়েই

বৃহস্পতি ও শুক্রবার মোরাম দিয়ে দীনেশ নগরের রাস্তা সারানোর কাজ শুরু হয়। রাতে সংস্কারের পর পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজও হয়েছে বলেই কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর।

road repairing work started at the accident site in Bansdroni

বাঁশদ্রোণীকাণ্ডের সেই ঘাতক জেসিবি। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:২৩
Share
Save

অবশেষে হুঁশ ফিরেছে কলকাতা পুরসভার। বাঁশদ্রোণীর যে রাস্তা গত ৮-১০ বছরেও সারানো হয়ে ওঠেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের, দুর্ঘটনায় এক কিশোরের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, শুরু হয়ে গেছে তার মেরামতির কাজ। বুধবারের ঘটনার পর স্থানীয় জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ে প্রশাসন। রাস্তা সারাই নিয়ে প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ তোলে স্থানীয় জনতা। পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করতে পেরেই দ্রুত রাস্তা মেরামতির কাজে নামে কলকাতা পুরসভা।

বৃহস্পতি ও শুক্রবার মোরাম দিয়ে দীনেশ নগরের রাস্তা সারানোর কাজ শুরু হয়। রাতে সংস্কারের পর পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজও হয়েছে বলেই কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর। কিন্তু, সেই সংস্কারের কাজে বাধ সেধেছে শনিবারের বারবেলার বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে ফের রাস্তার দশা বেহাল হওয়ার আশঙ্কা করছে কলকাতা পুরসভা। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা দ্রুত রাস্তা তৈরির কাজ করছি। কিন্তু, বৃষ্টি এসে সেই কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। কারণ, বিটুমিন দিয়ে তৈরি রাস্তা নষ্ট করতে বৃষ্টির জল বড় ভুমিকা নেয়। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে, যদি শনিবার বৃষ্টি না হত, তা হলে আমরা রাস্তার অবস্থা আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই ভাল করে দিতে পারতাম। কিন্তু, বার বার বৃষ্টি এসে সেই কাজে ভেস্তে দিচ্ছে।’’

উল্লেখ্য, বুধবার, দুর্ঘটনার পরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাঁশদ্রোণীর দীনেশ নগর এলাকা। খারাপ রাস্তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুর্ঘটনার পর কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়েরা। ঘটনার পর তাঁর থানায় গিয়ে আশ্রয় নেওয়া, পরে এলাকা থেকে বেপাত্তা হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভের সুর সপ্তমে ওঠে। তাই তড়িঘড়ি কলকাতা পুরসভার তরফে ওই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এই রাস্তার বেহাল হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে, যেখানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা কলকাতা পুরসভা এবং সোনারপুর রাজপুর পুরসভার সীমান্ত এলাকা। ওই এলাকায় এমন কয়েকটি রাস্তা রয়েছে, যা সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার সঙ্গে যুক্ত। তা ছাড়া, ২০১৭ থেকে পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ চালু হলেও রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়েছে। রাস্তার বেহাল হওয়া প্রসঙ্গে কলকাতা এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (কেইআইপি)-এর বিরুদ্ধেও স্থানীয় জনতার ক্ষোভ ছিল। আপাতত উৎসবের মরসুমে রাস্তা সারাই করেই ওই এলাকার জনতার ক্ষোভ প্রশমণ করতে চায় পুরসভা। তবে সেই কাজে বার বার বাধা পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পুরকর্তারা।

অন্য দিকে, শুক্রবার নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন কাউন্সিলর অনিতা। আপাতত রাইফেল ক্লাব রোডের বাড়ি থেকেই তাঁকে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছে দল। আর পুজোর ছুটির কারণেও লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত কাউন্সিলরের ওয়ার্ড অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Bansdroni Student Death Student Death Road maintenance KMC

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।