বিক্ষোভ: পুর পরিষেবার দাবিতে পথ অবরোধ হাওড়ার পেয়ারাবাগানের বাসিন্দাদের। পরিষেবা না পেলে ভোট না দেওয়ার কথাও বলেন তাঁরা(ইনসেটে)। বুধবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
পানীয় জলের পাইপলাইন বসানোর জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়েছিল প্রায় দশ বছর আগে। কিন্তু সেই রাস্তা আজও সারানো হয়নি। এলাকার মধ্যে দিয়ে যাওয়া হাওড়ার অন্যতম নিকাশি নালা থেকে পলি না তোলায় সামান্য বৃষ্টিতেই পচা, কালো জলে ভরে যায় এলাকা। নিকাশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার জেরে মাসের পর মাস সেই জল দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তায়। নোংরা, পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত জলের মধ্যে দিয়েই বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়। এমনই একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে হাওড়া পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের পেয়ারাবাগান এলাকার বাসিন্দারা বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত হাওড়া বেনারস রোডের তেঁতুলতলায় রাস্তা অবরোধ করলেন।
অবরোধকারীদের অভিযোগ, গত দু’বছর ধরে এলাকায় পুর পরিষেবা সর্ম্পূণ স্তব্ধ। বিষয়টি নিয়ে হাওড়া পুরসভাকে বার বার জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। এ দিন তারই প্রতিবাদে এলাকাবাসীরা পথ অবরোধ করেন। রাস্তাঘাট মেরামত-সহ পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করার ব্যাপারে পুরসভার আধিকারিকদের আশ্বাস পেলে তবেই অবরোধ উঠবে বলে জানান তাঁরা। তিন ঘণ্টা অবরোধ চলার পরেও পুরসভার তরফে কেউ ঘটনাস্থলে আসেননি। শেষে পুলিশের থেকে মৌখিক আশ্বাস পেলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ পেয়ারাবাগানের বাসিন্দারা হাতে পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা ভোট বয়কট করার হুমকিও দেন। ভোট বয়কটের কথা লেখা পোস্টারও এ দিন বিক্ষোভকারীদের হাতে দেখা যায়। অবরোধকারীদের পক্ষে মনোজ গোস্বামী বলেন, ‘‘গত ৩০ বছর ধরে এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। জল কিনে খেতে হয়। হাওড়ার সমস্ত নিকাশির জল এলাকার পচা খাল দিয়ে গিয়ে গঙ্গায় পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতেই খালের নোংরা, কালো জলে এলাকা ভেসে যায়। এ বার ছ’মাস হয়ে গেল সেই জল নামেনি।’’
এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা রতন পাত্র বলেন, ‘‘জলের পাইপলাইন বসানো হয়েছিল ১০ বছর আগে। তার পরেও এলাকায় জল আসেনি। রাস্তাও সারানো হয়নি। মারাত্মক ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করা যায় না। এ বার তাই আমরা বিধানসভা ভোট বয়কট করব।’’
কোনা পেয়ারাবাগানের বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনার পরে হাওড়ার পুর কমিশনার অভিষেক তিওয়ারি বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের দাবি কথা শোনার পরেই এলাকায় পুর অফিসারদের পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই যাতে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা আমরা দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy