—প্রতীকী চিত্র।
কখনও বেপরোয়া গাড়ি পিষে দিয়েছে ফুটপাতে খেলা করা শিশুকে। কখনও লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে পথচারীর। গত কয়েক দিনে এমন একাধিক দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে মোটরবাইক চালক থেকে আরোহীদের। তাই প্রশ্ন উঠেছে, গরমে ট্র্যাফিক পুলিশের নজরদারিতে ঢিলেমির জেরেই কি ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা? অভিযোগ, গরম এড়াতে বহু জায়গাতেই স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালের উপরে ভরসা রাখছেন পুলিশকর্মীরা। আর তার জেরেই ক্রমশ বাড়ছে বাইক বা বেপরোয়া গাড়ির দৌরাত্ম্য। পুলিশ যদিও রাস্তায় নজরদারি কম থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দিন চারেক আগে মানিকতলা মেন রোডের ফুটপাতে উঠে গিয়েছিল একটি বেপরোয়া গাড়ি। ফুটপাতে খেলা করা দু’টি শিশু-সহ তিন জনকে পিষে দিয়ে কিছুটা এগিয়ে উল্টে যায় গাড়িটি। জখম তিন জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় অঙ্কিত সাউ নামে বছর সাতের এক শিশুর। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়দের বিক্ষোভে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। রাস্তায় কোনও পুলিশি নজরদারি না থাকা নিয়েই সরব হন বাসিন্দারা। গত কয়েক দিনে শহরের রাস্তায় একাধিক দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর পরেও বার বার এই পুলিশি নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
লালবাজার সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিলে শহরে পথ দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত প্রায় ১০০ জন। রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে তিন জনের। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে পর পর এত দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর কারণ কী?
লালবাজারের তরফে এ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। তবে, শহরের সচেতন নাগরিকদের একাংশ পুলিশি নজরদারিতে ঢিলেমির দিকেই আঙুল তুলছেন। তাঁদের অভিযোগ, গরম বাড়তে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে নজরদারির পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালের উপরেই ভরসা বেড়েছে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের। ফলে রাস্তায় পুলিশি নজর কমছে। এই ফাঁক গলেই পথে আরও বেপরোয়া হচ্ছেন গাড়িচালকেরা। কখনও সিগন্যাল না মেনে বাইক বা গাড়ি ছোটাতেও দেখা যাচ্ছে। মানিকতলার এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘দুপুরের দিকে শহরের একাধিক রাস্তা কার্যত খাঁ খাঁ করে। রাস্তায় বেরোলে কোনও পুলিশই চোখে পড়ে না। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাতেই গাড়ি যাতায়াত করে অধিকাংশ জায়গায়। মানিকতলা মেন রোডে যে দুর্ঘটনা ঘটল, সেখানেও পুলিশের দেখা মেলেনি।’’
লালবাজারের পুলিশকর্তারা যদিও রাস্তায় পুলিশি নজরদারিতে ঢিলেমির কথা মানতে চাননি। এক কর্তার কথায়, ‘‘বছরের অন্যান্য সময়ের মতো গরমেও একই ভাবে রাস্তায় পুলিশকর্মীরা রয়েছেন ও নিজেদের কর্তব্য পালন করছেন। শহরের রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy