সরকারি চাকরির জগতে কেরিয়ার তৈরির কথা ভাবছেন? কম্পিটিটিভ পরীক্ষাগুলিতে ভাল ফল করার স্বপ্ন দেখছেন? এবার প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। রাইস এডুকেশন আয়োজন করতে চলেছে মেধা ভিত্তিক স্কলারশিপ টেস্ট। সহযোগিতায় সমিত রায় ফাউন্ডেশন। যারা মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।
মেধার উপর ভিত্তি করে প্রতিভাদের শনাক্ত করা এবং তার পরে তাদের সুনির্দিষ্ট কোর্সে ভর্তি করে বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতেই এই স্কলারশিপটি নিয়ে আসা হয়েছে। এই স্কলারশিপ শিক্ষার্থীদের রাইস এডুকেশন ইনস্টিটিউটের কোনও সংশ্লিষ্ট কোর্সে ভর্তি হওয়ার দরজা খুলে দেবে। পাশাপাশি দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা যারা সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য বাইরের ইনস্টিটিউটের সাহায্য নিতে চায় অথচ খরচার কারণে পারে না, তাদের জন্যও এই স্কলারশিপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্য়মে তারা তাদের বর্তমান আর্থিক, সামাজিক গন্ডি থেকে বের হয়ে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখতে পারবে। এসআরএফ এবং রাইসের এই স্কলারশিপ এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে।
স্কলারশিপ পরীক্ষায় প্রাপ্ত স্কোরের ভিত্তিতে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি পেতে পারবে শিক্ষার্থীরা। ১০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেওয়া হবে। গোটা বাংলা জুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ১ কোটি টাকার স্কলারশিপ দেবে রাইস ও এসআরএফ।
স্কলারশিপ টেস্টের দিন: ২০-২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
অনলাইনেই নেওয়া হবে টেস্ট। টেস্টের দিনগুলিতে একাধিক স্লট রয়েছে, যার মধ্যে থেকে পছন্দসই সময় বেছে নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। ৬০ মার্কসের পরীক্ষার জন্য সময় দেওয়া হবে ১ ঘণ্টা। ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে প্রশ্নপত্র। প্রতিটি প্রশ্ন হবে এমসিকিউ প্রকৃতির।
যোগ্যতা:
স্নাতক কিংবা স্নাতোকত্তর পাঠরত যে কোনও শিক্ষার্থী
স্নাতক কিংবা স্নাতোকত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে কোনও শিক্ষার্থী
পরীক্ষার আগে অবশ্য www.scholarship.riceindia.org — লিঙ্কে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পছন্দসই টেস্টের দিন এবং নির্দিষ্ট স্লট নির্বাচন করতে হবে। এই বিষয়ে বিশদে জানতে কল করতে পারেন ৯৮৭৪৭ ১২১১২ নম্বরেও।
গত ৩৫ বছর ধরে সরকারি চাকরির প্রস্তুতিপর্বে উজ্জ্বল নিদর্শন রেখেছে রাইস এডুকেশন। যা শুরু হয়েছিল প্রফেসর সমিত রায়ের হাত ধরে। কেরিয়ারের প্রথম দিকে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জনের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়ছে। গোটা অবস্থার উন্নতির প্রয়াসে, ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করতেই ১৯৮৫ সালে তিনি শুরু করেন রায় ইনস্টিটিউট অব কম্পিটিটিভ এক্সামিনেশনস প্রাইভেট লিমিটেড। ছোট করে বললে 'রাইস'।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৯৬১ অনুসারে একটি এনজিও হিসেবে রেজিস্টার্ড রয়েছে সমিত রায় ফাউন্ডেশন। শিক্ষার বিকাশ এবং সর্বোপরি প্রচারের স্বার্থে এবং আর্থিকভাবে দূর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা ও কেরিয়ারে সহায়তা করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর তথা রাইস গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রফেসর সমিত রায়।
এই বিষয়ে সমিত রায় জানিয়েছেন, "সমিত রায় ফাউন্ডেশন, রাইসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষাগুলিতে সুদক্ষ করে তুলতে রাইস ট্যালেন্ট স্কলারশিপ টেস্ট আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের এই প্রয়াস শুধুমাত্র বাংলার মুখ উজ্জ্বল করবে না, সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সাফল্যের পথকেও প্রশ্বস্ত করবে।"
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই গণিত অলিম্পিয়াড পরিচালনা থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নিখরচায় চিকিৎসা প্রদান-সহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সমিত রায় ফাউন্ডেশন। এখানকার মূল উদ্দেশ্যই হল যে সমস্ত প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে তাদের কেরিয়ার তৈরি করতে চান এবং যে শিক্ষার্থীরা আর্থিক অনটনের কারণে পেশাদার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে অক্ষম, তাদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে রাইস এডুকেশন কোর্স করার সুযোগ করিয়ে দেওয়া।