সল্টলেকের বৈশাখী আবাসনের সামনে ঝোপজঙ্গল। নিজস্ব চিত্র
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল দশা সল্টলেকের বৈশাখী আবাসনের। এমন অভিযোগে সোমবার সকালে বাসিন্দাদের একাংশ আবাসন চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। আবাসন দেখভালের দায়িত্বে থাকা নগরোন্নয়ন দফতর জানিয়েছে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবাসনের কিছু অংশে কাজ হলেও বাকি অংশে বিশেষত ডি টাইপ আবাসনগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ হচ্ছে না। ওই সব আবাসন থেকে পাইপ খুলে পড়ছে। নিকাশির তথৈবচ অবস্থা। নোংরা জল জমে থাকছে চার দিকে। আবাসনে আবর্জনা জমে আছে। পার্কগুলি ঝোপ-জঙ্গলে ভরেছে। কার্যত মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে।
তাঁদের অভিযোগ, বার বার বলেও কাজ হচ্ছে না। আমপানের পর থেকে কর্তাদের দেখা যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণের অফিসে এ দিন তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় বাসিন্দাদের সমিতির সম্পাদক সুখেন্দু খামারু জানান, এমন অবস্থার কথা কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, ‘‘সল্টলেকে করোনার প্রকোপ বাড়ছে, আবার ডেঙ্গির ভয়ও রয়েছে। তা সত্ত্বেও আবাসনের ভিতরের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের পরিবর্তন হচ্ছে না।’’
স্থানীয় কাউন্সিলর তথা বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অনিতা মণ্ডল বলেন, ‘‘সরকার মানুষের পাশে আছে। সরকার কিছু করছে না সেটা ভাবা ভুল হবে। তবে ওই আবাসনের ভিতরে রক্ষণাবেক্ষণের অবস্থা শোচনীয়। আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নগরোন্নয়ন দফতরের অফিস আছে। সেখানে ঠিকাদারদের মাধ্যমে কাজ হয়। সরকার নিশ্চিত ভাবে দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় স্তরে কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।’’ তিনি নিজেও বিক্ষোভের সময়ে ওই জায়গায় ছিলেন।
বাসিন্দারা জানান, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের। নগরোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy